আমি সঠিক ভাবে বাঁচব কিভাবে?

আমি সঠিক ভাবে বাঁচব কিভাবে?

চারিদিকে ফিতনা আর অশ্লীলতার জোয়ার বইছে ,ঘর থেকে বের হওয়াই যেন ঈমান-আমলের নিরাপত্তাহীনতা। যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, গুণাহের ছড়াছড়ি,অশ্লিলার ছড়াছড়ি । বিদেশি কালচারের রোগ এসে যেন, মুসলমান যুবক-যুবতীতের মাথায় বাসা বেঁধেছে। তাদের হায়া / লজ্জা হারিয়ে গেছে। ইসলামি শরীয়াহ তাদেরকে কাছে প্রায় অচেনা হয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত । এখন আর গুণাহ গোপন রাখা হয় না, প্রকাশ করতেও নেই কোনো সংকোচবোধ। অবাগ লাগে

এ অবস্থায় হৃদয় অশান্ত হয়,গভীর ভাবে চিন্তিত। আমি বাঁচব কিভাবে? বাঁচার উপায় কি? এসব প্রশ্ন হৃদয়গহীনে উঁকি দেয় বারবার। ঠিক এই সময় কয়েকটি হৃদয়স্পর্শী কথা ,অশান্ত অন্তরে প্রশান্তির সবুজ কুঁড়ির জন্ম দেয়।

হজরত ফারুকে আজম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলে হযরত কা’আব (রাঃ)’কে, হে কাআব! খোদাভীরুতা কি (আমাকে বলো) ? কাআব (রাঃ) বললেন– হে ওমর! (রাঃ) আপনি কখনো এমন রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করেছেন- যেখানে অনেক কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড় আছে? হজরত ওমর (রাঃ) বলেন হ্যা, এমন রাস্তা দিয়েও আমার যাতায়াত হয়েছে। কাআব (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন– এমন রাস্তা দিয়ে কিভাবে অতিক্রম করেছেন? হজরত ওমর (রাঃ) বললেন- নিজের কাপড়কে গুটিয়ে, কাঁটা থেকে বেঁচে অতিক্রম করেছি। তখন কাআব (রাঃ) বললেন– হে ফারুকে আজম ব্যস! এটাই তাকওয়া। [তাফসীরে বাগভী, ১ম পারা, সূরা বাকারা, ২য় আয়াতের পাদটীকা]

আল্লাহ তা’আলা দুনিয়াতে আমাদেরকে সুন্দর আকৃতি, পরিচ্ছন্ন অন্তর এবং ঈমানদার বানিয়ে পাঠিয়েছেন। দুনিয়া একটা কাঁটা ভর্তি রাস্তা সদৃশ। এতে রয়েছে নফস, শয়তান এবং হাজারো গুণাহের কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড়। এগুলো থেকে বেঁচে, নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে সর্বশেষ গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারা ব্যক্তিটাই এখানে সফল। তাই এই তাকওয়া কে অন্তরে জীবিত করতে হবে। আর এর জন্য গুণাহ সম্পর্কে জানতে হবে এবং গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে ।

Swadhin Attari

Spread the love

Leave a Comment