আদর্শবান স্ত্রীর গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য

ইসলাম স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মর্যাদা। একটি হাদিসে আমাদের রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সর্বোত্তম পুরুষ সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম, আমি আমার স্ত্রীর কাছে সর্বোত্তম ব্যক্তি’।

আরও একটি হাদিসে এমনও আছে যে, ‘স্বামীই হচ্ছে স্ত্রীর জান্নাতের চাবি। সুতরাং ইসলাম স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে দিয়েছে সম্মান ও মর্যাদা’।

একজন স্ত্রী স্বামীর কাছে কিভাবে উত্তম স্ত্রী হতে পারবেন এমনই কিছু ইসলামী টিপস উল্লেখ করা হলো-

১। আল্লাহ মহানের কাছে দোয়া করা- স্ত্রীর প্রথম কর্তব্য হলো দোয়া করা। আসলে আমাদের জীবনের সকল ভালো বিষয়গুলোই হচ্ছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে। সুতরাং আল্লাহকে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আল্লাহই পারেন আমাদের দুনিয়ার বৈবাহিক জীবনে সফলতা দান করতে। এজন্য একজন স্ত্রীকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করতে হবে- হে আল্লাহ! আপনি আমাদের বৈবাহিক জীবনকে উত্তম রূপে জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে জান্নাত দান করুন।

এক নাম্বার টি জানলাম এবার আসুন দ্বিতীয় নাম্বারটি জেনে নিন।

 

২। স্বামীর কথা শোনা এবং তার আনুগত্য করা- স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর আনুগত্য করা। কেননা স্বামীই হচ্ছে ঘরের কর্তা সুতরাং তাকে তার প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দেওয়াই হচ্ছে একজন আদর্শ স্ত্রীর কর্তব্য।সৎ চরিত্রের স্ত্রী রা সর্বদাই স্বামীর কথা শুনে এবং স্বামীদের শ্রদ্ধা করে।

৩। স্বামীকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করা- স্বামীকে সব সময় খুশি রাখা। হাদিসের‌ ভাষ্য হলো- স্বামীই হচ্ছে স্ত্রীর জান্নাতের চাবি। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, ‘কোন নারী যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে তার স্বামী তার ওপর সন্তুষ্ট তাহলে সে জান্নাতে যাবে’। সুতরাং একজন আদর্শ স্ত্রীর সব সময়ের কামনা হবে স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখা। তাহলে তৃতীয় টা আপনারা বুঝতে পারলেন যে স্বামীকে সব সময় খুশি রাখতে হবে।

৪। স্বামীকে তার ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ জানানো- একজন আদর্শ স্ত্রী যখন স্বামীকে তার ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাবে তখন স্বামী খুশি হবেন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। আমাদের সমাজের যে সকল নারীরা এমন করেন না তাদের বৈবাহিক জীবন খুব একটা ভালো হয় না। স্বামী ভালো কাজ করলে অবশ্যই স্ত্রী তাকে উৎসাহ প্রদান করবেন।

৫- স্বামীর সাথে আড্ডা দেওয়া- এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ পুরুষদের স্বাভাবিক স্বভাব হচ্ছে তারা হৃদয়গ্রাহী ও হাস্যোজ্জ্বল নারীদের পছন্দ করে। আমাদের নবী (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, ‘হে জাবের! তুমি এমন নারীকে বিবাহ করো যে তোমাকে আনন্দ দেবে এবং তুমিও তাকে আনন্দ দেবে’।

৬ তর্ক না করা: –
সব সময় একজন মানুষের মন ঠিক থাকেনা, মন খারাপ থাকলে ভালো কথাও খারাপ লাগে ৷ তাই স্বামীর মন খারাপ থাকলে তর্ক না করে তাকে একা থাকতে দিন ৷

আশা করছি এই পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে ভাল লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।


 

Spread the love

Leave a Comment