ইসমে আজম ও তার ফজিলত

ইসমে আজম

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সঙ্গে বসা ছিলাম, তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিল, যখন সে রুকূ-সিজদা এবং তাশাহহুদ পড়ে (নামাজ শেষে) দোয়া করতে আরম্ভ করল তখন সে তাঁর দোয়াতে বলল-

اللَّهُمَّ إِنّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، إِنّي أَسْأَلُكَ

উচ্চারণ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা আন্না লাকাল-হামদা লা ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নানু বাদিউস-সামাওয়াতি অল- আরদ, ইয়া- যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুমু ইন্নি আসয়ালুক”

তখন নবী (সাঃ) সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা কি জান সে কিসের দ্বারা দোয়া করল? তাঁরা বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ,সে আল্লাহর ঐ ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করেছে যা দ্বারা দোয়া করা হলে তিনি তা কবুল করেন, আর যাদ্বারা কোন কিছু চাওয়া হলে তা তিনি দান করেন।

(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩০০)

উক্ত হাদীস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম এই দোয়াটির মাঝে ইসমে আজম রয়েছে । আর ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় কিছু চাইলে তা পাওয়া যায় ।

ইসমে আজম নিয়ে অনেক মতামত রয়েছে । তবে যদি আপনি উপরের ছোট দুআটি মুখস্ত করে নিতে পারেন তাহলে ইসমে আজম পেয়ে যাবেন । কারণ ওই দুয়ার মধ্যে ইসমে আজম আছে ।

এবার পড়ুন

Spread the love

Leave a Comment