ইস্তেগফার পড়ে রিজিক বৃদ্ধির কি ভাবে হয়?

ইস্তেগফার পড়ে রিজিক বৃদ্ধির কি ভাবে হয়?

কিছু জিনিস আল্লাহ তা’আলা খুব পছন্দ করেন তার মধ্যে একটি হলো “ইস্তেগফার” অর্থাৎ তওবা । ইস্তেগফার দ্বারা গুনাহ মাফ হয় পাশাপাশি এর আরো অনেক ফজিলত রয়েছে ।

তাওবা ও ইস্তেগফার দ্বারা পেরেশানি দূর হয়, বিপদ থেকে মুক্ত লাভ হয় এবং রিযিক বৃদ্ধি পায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু তা’আলা আ’নহু) হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থণা) করবে, আল্লাহ্ তাকে প্রত্যেক বিপদ হতে মুক্তির ব্যাবস্থা করবেন, সকল দুশ্চিন্তা হতে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিযিক্ব দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না”। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ১৫১৮)

ইস্তেগফার এর অর্থ হল ক্ষমাপ্রার্থনা করা। আরবিতে সমার্থক শব্দ তওবা । অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে খুব সহজভাবে ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয় ?

এর উত্তর হল “আস্তাগফিরুল্লাহ” বেশি বেশি পাঠ করবেন । এটা বেশি বেশি পড়া খুব সহজ হবে ।

গুনাহ করলে কি ইস্তেগফার পড়তে হবে নাকি যেকোনো অবস্থায় পড়া যাবে ? এমনও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে।

গুনাহ করলে তওবা ইস্তেগফার অবশ্যই করতে হবে । গুনাহ না করলেও ইস্তেগফার করতে হবে কারণ এর অন্যান্য অনেক ফজিলত রয়েছে ।

আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সকল প্রকার গুনাহ হতে পবিত্র মাসুম । তারপরেও তিনি উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করতেন,
জরত আবূ হুরাইরা বর্ণনা করেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ৭০বারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবা করে থাকি। (বোখারী- ৬৩০৭)

ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি । তাই আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দেয়া শিক্ষা গ্রহণ করে বেশি বেশি ইস্তেগফার করবো ।

আল্লাহতায়ালা যেন আমাদেরকে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করেন । আমিন

এবার পড়ুন

Spread the love

Leave a Comment