কতবার সুরা ইখলাস পড়লে কি হয়?

প্রিয় পাঠক আজকে সূরা ইখলাসের কিছু আমল ও গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত এবং ১ বা ২ বা ৩ বা ১০ বা ১১ সুরা ইখলাস পড়লে কি হয় ।
এ বিষয়ে প্রমান সহ আলোচনা করব
তো চলুন শুরু করা যাক



অনুবাদ- আপনি বলুন তিনি আল্লাহ, তিনি এক,আল্লাহ পরমুখাপেক্ষী নন, না তাঁর কোন সন্তান আছে, না তিনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেছেন, এবং না আছে কেউ তার সমকক্ষ হবার ।
(তরজামা কানযুল ঈমান)

নবী (ﷺ) তাঁর সহাবীদেরকে বলেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা সাধ্যাতীত মনে কর? এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল (ﷺ)! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে এটা পারবে? তখন তিনি বললেন, “কুল হুআল্লাহু আহাদ” অর্থাৎ সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০১৫)

১ বার সূরা ইখলাস পাঠ করলে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ(১০ পারা) খতম করার সমান সাওয়াব হবে ।

২ বার সূরা ইখলাস পাঠ করলে
কোরআনের দুই-তৃতীয়াংশ (২০
পারা) খতম করার সমান সাওয়াব হবে।

৩ বার সূরা ইখলাস পাঠ করলে সম্পূর্ণ কোরআন (৩০
পারা) খতম করার সমান সাওয়াব হবে ।

সূরা ইখলাস যতবার পাঠ করবে সেই হিসাব করে কোরআন খতমের সওয়াব হাসিল করবে ।
এর পাশাপাশি অতিরিক্ত আরো কিছু বেনিফিট পাবে সেগুলি হল,

(১) যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।’ (সহিহ জামে সগীর ৬৪৭২)

(২) বেশি বেশি সূরা ইখলাস পাঠ করলে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায় ।
(মুসনাদ আহমদ ৭৬৬৯)

(৩) যে ব্যাক্তি ১১ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে, শয়তান সমস্ত বাহিনী তার বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েও তাকে সেই দিন গুনাহের কাজ করাতে পারবেনা । যতক্ষণ সে নিজের ইচ্ছায় না করবে ।
(দুররে মানসুর ৮খন্ড ৬৮১ পৃষ্ঠা )

সূরা ইখলাস পাঠ করার ফলে যে সাওয়াব পাওয়া যাবে সেগুলো তো পাওয়া যাবেই পাশাপাশি এই সমস্ত ফজিলতগুলো অতিরিক্ত লাভ করা যাবে ।

Spread the love

Leave a Comment