গোপন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপায়

গোপন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপায়

১. আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করে দোয়া। তিনি যেন তার অবাধ্যতা, নাফরমানি ও সব ধরনের গুনাহ্ থেকে রক্ষা করেন।

২. নফস তথা আত্মার সঙ্গে মোজাহাদা (লড়াই) করা, মনের কুমন্ত্রণা দূর করা এবং আল্লাহতায়ালার আনুগত্যের মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করা।

৩. কিয়ামতের দিন গোপন গুনাহকারীদের আমলসমূহ ধূলিকণার ন্যায় উড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা।

হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের কিছু মানুষ সম্পর্কে জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার (বিখ্যাত পাহাড়) শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেক আমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ্ তাআ’লা সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। হযরত সাওবান (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের পরিচয় পরিষ্কারভাবে আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। যাতে অজ্ঞাতসারে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হই। তিনি বললেন, তারা তোমাদেরই ভ্রাতৃগোষ্ঠী এবং তোমাদের সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক, যারা একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত কর্মে (গোপন গুনাহ্) লিপ্ত হবে। [সুনানে ইবনে মাজাহ: ২/১৪১৮]

৪. আল্লাহ্ তাআ’লার উপস্থিতির কথা চিন্তা করা। তিনি আমাকে সর্বদা দেখছেন এবং এ ব্যাপারে তাকে ভয় করা। এ প্রসঙ্গে কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক। [সূরা নিসা: ১]

৫. গুনাহ্ করার সময় এ কথা চিন্তা করা, কেউ কি দেখলে আমি এমন গুনাহ্ করতে পারতাম? এভাবে নিজের ভেতরের লজ্জাবোধ জাগ্রত করা। এ বিষয়ে হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘তুমি তোমার পরিবারের কোনো প্রভাবশালী সদস্যকে যেমন লজ্জা পাও, আল্লাহকে (কমপক্ষে) তেমন লজ্জা করো। [মুসনাদুল বাজ্জার: ৭/৮৯]

৬. এ চিন্তা করা, গুনাহরত অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে কিভাবে আমি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব? কারণ হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে (কিয়ামতের দিন) ওই অবস্থায় উঠানো হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে। [সহীহ মুসলিম: ৪/২২০৬]

গোপন গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকতে একাকি না থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন হযরত উলামায়ে কেরাম গন। সেই সঙ্গে মোবাইল ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে দূরে থাকা। ভালো মানুষের সান্নিধ্যে থাকা, অবসব সময়ে বেশি বেশি (কুরআন তেলাওয়াত, যিকির-আজকার ও ইসলামি/ইসলাহী বই) অধিকহারে অধ্যয়ন করা।

☝হে আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ ত্যাগ করার তাওফীক দান করুন। আমীন

সংগৃহীত

Spread the love

Leave a Comment