তাজিমী সেজদা করা কি জায়েজ?

তাজিমী সেজদা করার বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:
مَاۤ اٰتٰكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُۚ-وَ مَا نَهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْاۚ-وَ اتَّقُوا اللّٰهَؕ-اِنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ: যা কিছু তোমাদেরকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দান করেন তা গ্রহণ কর। আর যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহ কে ভয় কর নিশ্চয় আল্লাহ কঠিন শাস্তি দাতা
(পারা ২৮, সূরা হাশর, আয়াত ৭)

টীকা: সুতরাং প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তির ওপর ফরজ যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ কে মানা। তাহলে একটু দেখা যাক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কি আদেশ করেছেন,ক’একটি হাদীস লক্ষ্য করুন!


عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ لَمَّا قَدِمَ مُعَاذٌ مِنَ الشَّامِ، ‏‏‏‏‏‏سَجَدَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ مَا هَذَا يَا مُعَاذُ؟، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ أَتَيْتُ الشَّامَ فَوَافَقْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِأَسَاقِفَتِهِمْ، ‏‏‏‏‏‏وَبَطَارِقَتِهِمْ، ‏‏‏‏‏‏فَوَدِدْتُ فِي نَفْسِي أَنْ نَفْعَلَ ذَلِكَ بِكَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:‏‏‏‏ فَلَا تَفْعَلُوا، ‏‏‏‏‏‏فَإِنِّي لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللَّهِ، ‏‏‏‏‏‏لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا، ‏‏‏‏‏‏
অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আবী আওফি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন হযরত মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু শাম (একটি এলাকার নাম) থেকে ফিরে এলেন, তখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেজদা করলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন: হে মুআয!এটা কী করছ? হযরত মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি শাম(একটি এলাকার নাম)গিয়ে দেখলাম যে, ঐ এলাকার মানুষেরা তাদের ইমাম ও প্রধানদেরকে সেজদা করছে, তখন আমার মন চাইল যে,আমি ও আপনাকে সেজদা করি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে এরকম করনা। কারণ আমি যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সেজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে আমি নির্দেশ দিতাম কোনো স্ত্রী যেন তার স্বামীকে সেজদা করা।
(ইবনে মাজাহ শরীফ পৃষ্ঠা ১৩৩, হাদীস নং ১৮৫৩)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ فَجَاءَ بِعِيرٌ فَسَجَدَ لَهُ فَقَالَ أَصْحَابُهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ تَسْجُدُ لَكَ الْبَهَائِمُ وَالشَّجَرُ فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ. فَقَالَ: «اعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَأَكْرِمُوا أَخَاكُمْ وَلَوْ كُنْتُ آمُرُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَلَوْ أَمَرَهَا أَنْ تَنْقُلَ مِنْ جَبَلٍ أَصْفَرَ إِلَى جَبَلٍ أَسْوَدَ وَمِنْ جَبَلٍ أَسْوَدَ إِلَى جَبَلٍ أَبْيَضَ كَانَ يَنْبَغِي لَهَا أَن تَفْعَلهُ» .
অর্থ: হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাজির ও আনসারদের জামাতে মাঝে ছিলেন, এমন সময় একটি উট এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সেজদা করল।সাহাবীগণ বললেনঃ আল্লাহর রাসূল! গবাদিপশু ও বৃক্ষরা আপনাকে সেজদা করছে, অথচ আমরা বেশি হকদার (অধিকার) আপনার সেজদা করার। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহর ইবাদাত কর আর নিজের ভাই কে সম্মান কর যদি আমি কাউকে সেজদা করার আদেশ দিতাম তো আমি স্ত্রীর দের হুকুম করতাম যে সে যেন নিজ স্বামীকে সেজদা করে। স্বামী যদি স্ত্রীকে (ন্যায়সঙ্গত ও প্রয়োজনে) হলুদ বর্ণের পর্বত হতে কালো বর্ণের পর্বতে এবং কালো বর্ণের পর্বত হতে সাদা বর্ণের পর্বতে পাথর স্থানান্তরের নির্দেশ করে, তবে তার দায়িত্বনিষ্ঠার সাথে তা পালন করা জরুরী।
(মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৩৮৩ হাদীস নং ৩২৭০)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ»
অর্থ: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ ইহুদিদের ধ্বংস করুন। তারা তাদের নবীদের মাজার কে সেজদার স্থান বানিয়ে নিয়েছে।
(মোআত্তা ইমামে মুহাম্মদ খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৫৪, হাদীস নং ৩২০)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي لَمْ يَقُمْ مِنْهُ: «لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِد»
অর্থ:হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অসুস্থতার সময়,যা থেকে তিনি সুস্থ হননি বলেছিলেন আল্লাহ ইহুদী ও খ্রিস্টানদের অভিশাপ করুন, ওরা নিজের নবীদের কবর কে সেজদার স্থান বানিয়ে নিয়েছে।
(মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৬৯ হাদীস নং ৭১২)

টীকা: সুতরাং এই হাদীস দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে তাজিমি সেজদা করা না জায়েজ ও হারাম। কারণ যদি জায়েজ হত তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করতেন না। সুতরাং তাজিমি সেজদা করা না জায়েজ ও হারাম।

হানাফী মাযহাবের ফোকাহায়ে কেরামদের নিকট তাজিমী সেজদা হারাম। যেমন ক’একটি মত তুলে ধরলাম!
১)বাদশা আওরঙ্গজেব আলমগীর রহমাতুল্লাহি আলাই বলেছেনঃ
من سجد للسلطان على وجه التحية أو قبل الأرض بين يديه لايكفر و لكن يا ثم لا رتكاب الكبيرة وه‍و المختار و قال الفقيه أبو جعفر رحمه الله ان سجد للسلطان بنية العبادة او لم تحضره النية فقدكفر.
অর্থ: যে ব্যাক্তি সম্মানের উদ্দেশ্যে কোন বাদশাহ কে সেজদা করল কিংবা তার সম্মুখে মাটিতে চুমু খেল তাতে সে কাফের হবে না, বরং সে যে মহা অপরাধ করেছিল তার কারণে সে গুনাগর হয়ে যাবে। এটাই মুখতারের মাযহাব (দ্বীন) এবং ফকীহ আবু জাফর রহমাতুল্লাহি আলাই বলেছেন যে, যদি সে ইবাদতের নিয়তে বাদশাহকে সেজদা করে বা সে সময় ইবাদত ও তাহিয়াত কোন নিয়ত ছিল না, তো অবশ্যই কাফের হয়ে গেছে।
لا يجوز السجود الا لله تعالى.
অর্থ: আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কাউকে সেজদা করা না জায়েজ।
(ফাতওয়া আলমগীর খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ৪৪৯)

২) হযরত আল্লামা শাহ আব্দুল আজীজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ
اجماع قطعی است بر تحریم سجدہ۔
অর্থ: তাজিমী সেজদা হারাম হওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মত ঐক্যমত রয়েছে
(ফাতওয়া আজিজিয়াহ- সংরক্ষণ ফাতওয়া ফায়জুর রাসূল খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৫০১)

৩) হযরত আল্লামা মুল্লা আলী’ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ
السجدة حرام لغيره سبحانه.
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত অন্য কে সেজদা করা হারাম।
(শরহে ফিকহী আকবার পৃষ্ঠা ৩০৬)

৪) ইবনে আবিদ শামি রহমাতুল্লাহি আলাই বলেছেনঃ
ما يفعلونه من تقبيل الأرض بين يدى العلماء و العظماء فحرام و الفاعل و الراضى به اثمان لانه يشبه عبادة الوثن.
অর্থ: আলেম ও বুজুর্গদের সামনে মাটিতে চুম্বন করা হারাম। চুম্বনকারী এবং সম্মতি প্রদানকারী উভয়ই পাপী কারণ এই কাজটি মূর্তিপূজার অনুরূপ।
( রদ্দুল’মুহতার আলা দূররে মুখতার খন্ড ৯,পৃষ্ঠা ৫৫০)

৫) হযরত আল্লামা মুল্লা আলী’ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ
اما تقبيل الأرض فه‍و قريب من السجود الا ان وضع الجبين او الخد على الأرض افحش و اقبح من تقبيل الأرض.
অর্থ:মাটিতে চুম্বন করা সেজদার কাছাকাছি এবং কপাল বা গাল মাটিতে রাখা আরও বেশি অশ্লীল ও খারাপ।
(শরহে ফিকহী আকবার পৃষ্ঠা ৩১৬)

৬) ইমাম আহলে সুন্নাত মোজাদ্দেদ আজম আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাই বলেছেনঃ
غیر خدا کو سجدہ ہماری شریعت میں حرام ہے ۔
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সেজদা করা আমাদের শরীয়তে হারাম।
(ফাতওয়া রেজভীয়া খন্ড ২২ পৃষ্ঠা ৩৮২)

৭) হযরত আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আজমী আলাইহি রহমা “রদ্দুল মূহতারের” হাওলা দিয়ে লিখেছেন:
سجدہ تحیت یعنی ملاقات کے وقت بطور اکرام کسی کو سجدہ کرنا حرام ہے اور اگر بقصد عبادت ہو تو سجدہ کرنے والا کافر ہے کہ غیر خدا کی عبادت کفر ہے۔
অর্থ:সেজদাহ তাহিয়া অর্থাৎ সাক্ষাতের সময় সম্মানের নিদর্শন হিসেবে কাউকে সেজদা করা হারাম, আর তা যদি ইবাদতের উদ্দেশ্যে হয় তাহলে সেজদাকারী কাফের এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করা কুফরী।
(বাহারে শরীয়ত খন্ড ১৬, পৃষ্ঠা ৪৭৩)

৮) হযরত আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ শরীফুল হক্ব আমজাদি আলাইহি রহমা বলেছেনঃ
ہمارے شریعت میں اللہ عزوجل کے علاوہ کسی اور کو سجدہ کرنا حرام قطعی ہے، خواہ سجدہ تعبدی ہو، خواہ سجدہ تعظیمی۔
অর্থ: আমাদের শরীয়তে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ব্যতীত অন্য কাউকে সেজদা করা একেবারেই হারাম, সে সেজদা ইবাদাতমূলক (তাবুদি) হোক বা সম্মানের।
اللہ عزوجل کے علاوہ کسی کے لئے سجدہ تعبدی کرنے والا کافر و مشرک ہے اور سجدہ تعظیمی کرنے والا کافر و مشرک نہیں مگر گنہ گار فاسق ضرور ہے۔
অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ইবাদাতমূলক (তাবুদী) সেজদা করে সে কাফের ও মুশরিক এবং যে ব্যক্তি সম্মানের সেজদা করে সে কাফের ও মুশরিক নয় বরং পাপী ও গুনাহগার।
(ফাতওয়া শারেহ বোখারী খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৩৩৯/৪০)

৯) হযরত আল্লামা মুফতী আবূ সালেহ মোহাম্মদ ক্বাসেম আল’ক্বাদেরী বলেছেনঃ
تعظیمی سجدہ پہلی شریعتوں میں جائز تھا ہماری شریعت میں منسوخ کر دیا گیا اب کسی کے لئےجائز نہیں ہے۔ لہذا کسی پیر یا ولی یا مزار کو تعظیمی سجدہ کرنا حرام ہے۔
অর্থ: তাজিমী সেজদা আগের (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আশার পূর্বের কথা বলেছে) শরীয়াতে জায়েজ ছিল, আমাদের শরীয়াতে বাতিল (মানসুখ) করে দিয়েছে। এখন কারোর জন্য জায়েজ নেই। সুতরাং কোন পীর, ওলী, কিংবা মাজার কে তাজিমী সেজদা করা হারাম।
(সিরাতুল’জেনান ফি’তাফসীরুল কুরআন খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১১২)

১০) হযরত আল্লামা মুফতী জালাল উদ্দীন আহমদ আমজাদি বলেছেনঃ
بے شک سجدہ تعظیمی سخت ناجائز و حرام ہے ۔
অর্থ: নিশ্চয় তাজিমী সেজদা কঠিন না জায়েজ ও হারাম।
(ফাতওয়া ফায়জুর রাসূল খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৪৯৬)

১১) হযরত আল্লামা মুফতী আব্দুল মান্নান সাহেব আজমী বলেছেনঃ
خداۓ تعالیٰ کے علاوہ کسی چیز کو سجدہ کرنا اگر چہ تعظیم ہی کی غرض سے ہو ، عبادت مقصود نہ ہو حرام ہے ۔
অর্থ: আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কিছুকে সেজদা করা হারাম, ইবাদতের উদ্দেশ্যে না হলেও ।
(ফাতওয়া বাহারুল উলুম খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ৫৩৪)

১২) হযরত আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আজমী আলাইহি রহমা বলেছেনঃ
سجدہ تحیت دریں شریعت حرام است ۔ بلکہ بقصد تعظیم مجردانحنا تا حد رکوع ممنوع ۔
অর্থ: শরীয়তে তাজিমী সেজদা হারাম, বরং শুধুমাত্র সম্মানের উদ্দেশ্য হয় তাহলে রুকু পর্যন্ত ঝোঁকা ও নিষেধ।
(ফাতওয়া আমজাদিয়া খন্ড ৪ পৃষ্ঠা ২৪)

টীকা: এই বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ওয়ালামায়ে কেরাম গণের মত স্পস্ট যে তাজিমী সেজদা করা হারাম ও গুনাহর কাজ এবং ইবাদাতের উদ্দেশ্য করলে কাফের হয়ে যাবে।

দোয়া প্রার্থী:(ইকবাল আহমেদ ক্বাদেরী,বারুইপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা)
বিঃ দ্রঃ- ফায়য বরকত হাসিল করার জন্য ফরওয়ার্ড/ শেয়ার করবেন এবং আমার জন্য দোওয়া করবেন। আল্লাহ হাফিজ।

Spread the love

1 thought on “তাজিমী সেজদা করা কি জায়েজ?”

Leave a Comment