দায়ুস স্বামী জাহান্নামে যাবে

দায়ুস স্বামী জাহান্নামে যাবে

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন “হে বিশ্বাসী বান্দাগন, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে সেই আগুণ থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর ” (সূরা তাহরিম-৬)
পবিত্র কুরআনের এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বুঝা গেল , নিজে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হবে এবং পরিবার-পরিজনদেরকেও বাঁচাতে হবে ।
আপনার পরিবারের মধ্যে কেউ যদি গুনাহের কাজ করে আর আপনি যদি চুপ করে থাকেন কিছু না বলেন তাহলে এর জন্য আপনাকেও শাস্তি পেতে হবে ।
পরিবারের মধ্যে সবচাইতে কাছের সঙ্গিনী হলো স্ত্রী, স্ত্রীর ভুলের জন্য স্বামীকে জাহান্নামে যেতে হবে ।

যদি কোন স্ত্রী বেপর্দা ঘোরাফেরা করে ও কোন অশ্লীল ও বেহায়াপনা কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যায় আর স্বামী সব জানার পরেও নীরবতা অবলম্বন করে কোন প্রকার বাধা না দেয়। তাহলে সেই স্বামীকে হাদীসের ভাষায় দাইয়ুস বলা হয়।

দাইয়ুস সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (নাসায়ীঃ ২৫৬২, মিশকাতঃ ৩৬৫৫)

ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেছেন, ‘দাইয়ূস’ সে ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর ফাহেশা (অশ্লীল) কাজ সম্পর্কে অবগত। কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসার কারণে এ ব্যাপারে সে উদাসীন থাকে। অথবা তার উপর তার স্ত্রীর বড় ঋণ বা মোহরানার ভয়ে অথবা ছোট ছেলেমেয়েদের কারণে সে স্ত্রীকে কিছুই বলে না । (যাহাবী, কিতাবুল কাবায়ের- ১/৫০)
এ সমস্ত লোক দাইয়ুসের অন্তর্ভুক্ত হবে ।

এছাড়া যদি একজন পুরুষের অধীনে স্ত্রী ছাড়া পরিবারের অন্য কোন নারী থাকে । যেমন কন্যা, ও বোন । আর তারা বে পর্দা ও অশ্লীলতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে আর সে পুরুষ কিছুই বলে না কোন বাধা দেয় না এর জন্যও সে দাইয়ুছ বলে গণ্য হবে ।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয় যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়।’ (মুসনাদ আহমদ, নাসাঈ)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-কন্যা সহ পরিবারের অধিনস্ত অন্য সদস্যদের বেপর্দা চলাফেরা ও অশ্লীল কাজকর্ম বা ব্যভিচারকে স্বাভাবিক ভাবে এবং কোনোরূপ বাধা না দিয়ে নীরবতা অবলম্বন করে। সেই দাইয়ুস ।
আর সেই জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে ।

তাই যদি আপনাদের মধ্যে কেউ দাইয়ুস হয়ে থাকেন তাহলে সময় থাকতে তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসুন । আল্লাহ তওবাকারীকে পছন্দ করেন ,আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন ।

আল্লাহ যেন আমাদের সঠিক বুঝার তৌফিক দান করেন আমিন ।

Spread the love

Leave a Comment