নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা মানুষের চরিত্র যাচাই করা কি জায়েজ?

প্রশ্নঃ- নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা মানুষের চরিত্র যাচাই করা কি জায়েজ আছে?

উত্তরঃ- নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা মানুষের চরিত্র যাচাই করা জায়েজ নেই । মূলত যারা নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা মানুষের স্বভাব ও চরিত্র বোঝাতে চেষ্টা করে তার মধ্যে থেকে কিছু বানানো আর কিছু বাড়ির আশেপাশের মানুষদের চরিত্র দেখে উল্লেখ করে যে,এই অক্ষরের নামের ছেলে মেয়ে এমন হয় ।

উদাহরণস্বরূপ
A- এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা সাধারণত খুব একটা রোমান্টিক নন। তবে তারা ব্যবসায় বেশ পারদর্শী।

H দিয়ে নাম শুরু যাদের, তাদের মধ্যে স্নেহ, মমতা রয়েছে অধিক। মানসিকভাবে খুব দৃঢ় হন তারা। 

M দিয়ে নাম শুরু যাদের সেই ব্যক্তিরা দ্বিমুখী স্বভাবের হয়। বাস্তবে তারা যেমনটা দেখায়, ভেতরে কিন্তু তেমনটা নয়।

N  দিয়ে নাম শুরু যাদের সেই ব্যক্তিরা আবেগপ্রবণ হয়।

R অক্ষর দিয়ে যাদের শুরু, তারা স্বার্থপর হয় এবং নিজেকে সবসময় সেরা প্রমাণ করার জোর প্রচেষ্টা চালাতে ভালোবাসে।

S নামের নারী ও পুরুষরা রোমান্টিক হয় বেশি। একইসঙ্গে তারা সংবেদনশীলও হয় এবং কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করে ।

এইভাবে প্রত্যেকটা অক্ষরের ব্যাপারে তারা মতামত দিয়ে থাকে ।

এবার প্রশ্ন হলো এইসব তথ্য কি সত্য মনে করা যাবে?

এর সহজ উত্তর হল এর সমস্তটাই কুসংস্কারে ভরা যা গ্রহণ করা জায়েজ নেই । যারা এই জাতীয় কথাবার্তা বলে মানুষদের বোকা বানানোর চেষ্টা করে, তাদের ভাবা দরকার এমন তথ্য দেওয়ার কারণে অসংখ্য মানুষের মনে সন্দেহ জন্মাবে, অনেকের কাছের বন্ধু চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করবে । এ কুসংস্কার সমাজে যত ছড়াবে ততো বিভিন্ন গভীর সম্পর্কের মধ্যে দুর্বলতা আসবে ।

নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা মানুষের স্বভাব চরিত্র যাচাই-বাছাই করা সম্ভব নয় । কারো নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা চরিত্র যাচাই বাছাই করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ ।

তাই কোনভাবেই এই সমস্ত বানানো কথা বিশ্বাস করবেন না , এতে ঈমানের ক্ষতি হবে, কারণ এমন অক্ষর অসংখ্য নবী, সাহাবী,অলীর নামের প্রথম আছে।
ইসলামী শরীয়তে এই সমস্ত বিদআত ও কুসংস্কারের কোন স্থান নেই ।

আল্লাহ যেন আমাদেরকে এ সমস্ত কুসংস্কার থেকে বাঁচিয়ে রাখেন । আমিন

Spread the love

Leave a Comment