আরব আলেমদের দৃষ্টিতে শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী কেমন ছিলেন?

আরব আলেমদের দৃষ্টিতে শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী কেমন ছিলেন?

আরব বিশ্বে ও বর্তমান দুনিয়ায় কথিত আহলে হাদীস মতবাদ বিস্তারের রূপকার শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী (মৃত ১৯৯৯ ইং)। রাসূল (ﷺ) এর হাদীসকে বিকৃত করে মুসলমানদেরকে বিভক্ত করার মূল নায়ক তিনি।

তিনিই সহীহ হাদীসকে যয়ীফ, আর যয়ীফ হাদীসকে সহীহ বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার মূলমন্ত্র শিখিয়েছেন কথিত আহলে হাদীসদেরকে। চির মীমাংসিত বিষয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্যের তিনিই সূচনা করেছেন।

শিক্ষা দিয়েছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আকাবিরগণের প্রতি বেআদবীমূলক আচরণ। হানাফী মাযহাবের দলীল হিসেবে কোনো হাদীস পাওয়া মাত্রই মনগড়া যুক্তিতর্কের মাধ্যমে দুর্বল হাদীসের তালিকায় ফেলে দেয়াই তার প্রধান পেশা।

তার জীবনী শীর্ষক কয়েক খানা বই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কার নিকট তিনি পড়ালেখা করেছেন এর কোন বিবরণ কোথাও উল্লেখ নেই। মদীনা ইউনিভার্সিটির উস্তাদ ডঃ আনিস তাহের (ইন্দোনেশী) আমাদের ক্লাসে আলবানীর জীবনী শীর্ষক দু’সপ্তাহ ব্যাপী আলোচনা পেশ করেছেন।

তাতেও তিনি শায়খ আলবানীর শিক্ষা-ডিগ্রি বিষয়ক কিছুই বলতে পারেননি। আমরা তার জীবনী গ্রন্থে যা পেয়েছি, তারই লিখিত বই “সিফাতুস সালাত” এবং “সালাতুত তারাবীহ” গ্রন্থ দু’টির অনুবাদক আলবানীর জীবনীতে লিখেন, “তিনি তার পিতার পেশা, ঘড়ি মেরামতের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

অতএব কোনো মাদরাসায় ভর্তি হয়ে তার পড়া লেখার সুযোগ কোথায়? কোথায় তার এ সময়? তবে আমাদের উস্তাদ ডাঃ আনিস সাহেব বলেছেন যে, শায়খ আলবানী নিজে নিজে প্রচুর অধ্যয়ন, গবেষণা করতেন। অবশ্য আমরা জানি, যারা নিজে নিজে গবেষণায় অবতীর্ণ হয়, তারাই পথভ্রষ্ট হয়, তাদের মাধ্যমে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।

এধরনের পথভ্রষ্ট বিদ্যানগণের তালিকা এ জগতে বিস্তর লম্বা, কাহিনী তাদের অনেক হৃদয় বিদারক। মনগড়া মতবাদ ছড়িয়ে হঠাৎ আজগবী চমক সৃষ্টি করাই হয় তাদের মূল টার্গেট। তাইতো শায়খ আলবানীর গবেষণায় অজ্ঞতা, বাড়াবাড়ি, দুর্বলতা, ভুলভ্রান্তি, স্ববিরোধিতা ও কল্পনাপ্রসূত মনগড়া মতবাদে ভরপুর। এ সবের বিশাল সূচী আজ ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে।

আর রচিত হচ্ছে তার অমার্জিত ভুলত্রুটির দাস্তান শীর্ষক অসংখ্য বই পুস্তক। এ পরিসরে আরব-অনারবের অনুস্মরণীয় কয়েক জনের মতামত অতি সংক্ষেপে উপস্থাপনের প্রয়াস পাবো।

আরবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, অসংখ্য গ্রন্থের নির্ভরযোগ্য গবেষক, আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামা তাঁর রচিত “আসারুল হাদীস” নামক কিতাবের ৫১নং পৃষ্ঠায় লিখেনঃ

مع ان هذا الرجل ليس له من الشيوخ إلا شيخ واحد من علماء حلب بالإجازة لا بالتلقى والأخذ والمصاحبة والملازمة

এছাড়া এই ব্যক্তির তো কোন শিক্ষক নেই। সিরিয়ার হালবের জনৈক ব্যক্তি তাকে হাদীস চর্চার মাত্র অনুমতি দিয়েছেন। তবে তার কাছেও আলবানী নিয়মিতভাবে পড়ালেখা করেননি।

আরব আলেমদের দৃষ্টিতে শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী কেমন ছিলেন? ২য় অধ্যায়

হাদিস গবেষনার নামে ধোঁকাবাজি

বিশ্ব বিখ্যত মুহাদ্দিস হাবীবুর রহমান আযমী (রহঃ) তাঁর গ্রন্থ الأبانى شذوذه وأخطاؤه (শায়খ আলবানীর ভুলভ্রান্তি ও বিচিত্র মতবাদের দাস্তান)-এর ভূমিকায় লিখেছেনঃ

والله لا يعرف ما يعرف آحاد الطلبة الذين يشتغلون بدراسة الحديث فى عامة مدارسنا

আল্লাহর কসম, সেই শায়খ আলবানী হাদীস সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞানও রাখেনা, যা আমাদের সাধারণ মাদরাসাগুলোতে অধ্যয়নরত ছাত্ররা জানে।

অতঃপর আযমী (রহঃ) উক্ত কিতাবে তিন,শায়খ আলবানীর জ্ঞানের পরিধি ও তার ভুলভ্রান্তি এবং বিচিত্র মতবাদের আশ্চর্য চিত্র উদ্ধৃতি সহকারে উপস্থাপন করেছেন।

এছাড়া শায়খ আলবানীর গবেষণা প্রায়ই বিরোধপূর্ণ ও সংঘর্ষমুখী হওয়ায় আরবের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামগণ তা চিহ্নিত করেছেন। স্বতন্ত্র বই পুস্তক লিখে এসব বিষয়ে মুসলমানদেরকে শায়খ আলবানীর গবেষণামূলক মতামত গ্রহণ করার প্রতি সতর্ক করেছেন।

আরবের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়খ হাসান বিন আলী আস সাক্কাফ প্রণীত “তানাকুযাতুল আলবানী” বা আলবানীর গবেষণায় বিরোধপূর্ণ বর্ণনা শীর্ষক বইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। (দারুল ইমাম নববী, ওমান থেকে প্রকাশিত)

এতে তিনি শায়খ আলবানীর অসংখ্য হাদীস তুলে ধরেছেন, যেসব হাদীসের ক্ষেত্রে শায়খ আলবানী তারই রচিত একেক কিতাবে একেক ধরনের মতামত পেশ করেছেন।

একই হাদীসকে তিনি কোথাও সহীহ আবার কোথাও দুর্বল এ জাতীয় স্ববিরোধী মতামত দেদারসে লিখে গেছেন।

শায়খ হাসান তার উল্লেখিত বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, শায়খ আলবানীর স্ববিরোধী মতামত ও ভুলত্রুটির ফিরিস্তি লেখকের নিকট হাজার হাজার জমা রয়েছে, যা পরবতীতে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

এভাবে আরবের বিজ্ঞ আলেম শায়খ মাহমুদ সাঈদ মামদূহ প্রণীত ৬ ভলিয়মে লিখিত বিশাল কিতাব

التعريف باوهام من قسم السنن الى صحيح وضعيف

(যে সুনান হাদীসের কিতাবসমূহকে সহীহ ও দুর্বল দু’ভাগ করেছেন তার ভুলভ্রান্তির পরিচয়)

শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ.) প্রণীত
كلمات فى كشف اباطيل وافترائت
(আলবানীর বাতিল মতবাদ ও মিথ্যা অপবাদের উন্মোচনে কিছু কথা) তিনি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ।

শায়খ আবু উমর হাই ইবনে সালেম আল হাই প্রণীত
النصيحة فى بيان الاحاديث التى تراجع عنها الالبانى فى الصحيحة
(যেসব সহীহ হাদীসকে আলবানী দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন সেগুলোতে পুণর্বিবেচনার উপদেশ) দিয়েছেন ।

ডক্টর মুহাম্মদ সাঈদ রামাদান আল বুয়াইতী প্রণীত
الامذبية اخطر بدعة تهدد الشريعة الاسلامية
(লা-মাযহাবী মতবাদ মারাত্মক বিপদজনক বিদআতী দল ইসলামী শরীয়তের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি)

প্রমুখ লেখকগণ তাদের রচনাবলীতে শায়খ আলবানীর ভুলভ্রান্তি ও স্ববিরোধী মতবাদের চিত্র তুলে ধরেছেন।

দেখিয়ে দিয়েছেন হাতে কলমে ধরে ধরে, শায়খ আলবানীর বই ও পৃষ্ঠা নাম্বার চিহ্নিত করে। এতে করে পরিস্কারভাবে প্রমাণ হয় যে, হাদীস গবেষণার ক্ষেত্রে শায়খ আলবানীর কোনো নিয়মনীতি নেই।

আছে শুধু তার মনগড়া তন্ত্রমন্ত্র, আর উলামায়ে কিরামকে আক্রমণের হাতিয়ার। এছাড়া বিরোধিতা ও বাড়াবাড়ির বিদ্যায় তিনি সর্বোচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্ত। হাদীস গবেষণার নামে যা করেছেন অধিকাংশই শুভংকরের ফাঁকি, বিচিত্র মতবাদ ছড়ানোর উপকরণ মাত্র।

একটি সুন্দর পোষ্ট-হাসান বাসরি (রহঃ) এর উপদেশ

আরব আলেমদের দৃষ্টিতে শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী কেমন ছিলেন? ৩য় অধ্যায়

আরবের বিশিষ্ট মুহাদ্দিস শায়খ মাহমুদ সাঈদ মামদূহ প্রণীত কিতাব

تنبيه المسلم إلى تعدى الألبانى على صحيح مسلم

“সতর্ক হে মুসলিম, নাসীরুদ্দীন আলবানীর বাড়াবাড়ির জালে সহীহ মুসলিম) এই কিতাব এর ২০৬ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন- ”আমি আলবানীর কাল্পনিক কর্মকান্ড ভুলত্রুটির ফিরিস্তি অবগত হয়েছি। বিশেষ করে সহীহ হাদীসের কিতাব প্রসঙ্গে বাড়াবাড়ির বিষয়টি তার খারাপ কর্মকারন্ডর পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট।”

উক্ত বইয়ের ২০৫নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেনঃ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, প্রসঙ্গত উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করি। আলবানী যখনি কাউকে তার প্রতিপক্ষ বা ভিন্ন মতাদর্শের মনে করেন তখন দেখতে পাবেন, তিনি বইয়ের পর বই, আর পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা তাকে সমালোচনা করে লিখেই যাচ্ছেন। তার আক্রমণের স্বরূপ হিসেবে দেখবেন তিনি প্রথিতযশা বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম ও মহামনিষীদের ধ্বংস হওয়ার কামনা করেন, তাঁদেরকে মুশরিক, মিথ্যুক, প্রতারক, বিদআতী আখ্যায়িত করতে সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করেন না।

যুগশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণকে নাসীরুদ্দীন আলবানী প্রতিপক্ষ মনে করলে তাঁদেরকে কাফির, চক্রান্তকারী, দুষ্টু, মুনাফিক, পথভ্রষ্ট ইত্যাদি অপবাদ দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না।

এতে তার পাষাণ আত্মা তিলমাত্র কাঁপে না। তার ভয়ঙকর ন্যক্কারজনক কর্মকান্ডের তালিকায় ইমাম আহমদ (রহ.)-কেও বিদআতী বলে আখ্যায়িত করতে ছাড়েনি। এ ধরনের আচরণ তার দু’একটি ঘটনা নয়; বরং এসব বর্ণনা করে শেষ করার মত নয়।

৪জন ইমাম অক্লান্ত পরিশ্রম করে, কুরআন হাদিস গবেষণা করে দ্বিন-ইসলামের খিদমত করেছেন । কুরআন ও হাদিসকে সহজভাবে বুঝার পথ দেখিয়েছেন । আর নাসীরুদ্দীন আলবানী হাদিসের নামে জালিয়াতি করে তাদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতেও পিছুপা হয়নি । রাসূল (ﷺ) ও সাহাবাগণের আদর্শ কি মুসলমানদেরকে এমন শিক্ষাই দিয়েছে? । নাকি আলবানি ইয়াহুদিদের ইশারাই এসব করেছে ? চিন্তার বিষয় । তার মুখে এ ধরনের অশ্লীল আক্রমনাত্মক আচরণ অবশ্যই ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য লজ্জাজনক।

এভাবে মাসাইলগত বিষয়েও অনেক ক্ষেত্রে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের মান্যবর উলামায়ে কিরাম এমনকি সৌদী আরবের উলামায়ে কিরামদেরকেও তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন পদে পদে।

তার পিতা নূহ নাজাতী একজন আদর্শ মানব, হানাফী মাযহাবের শীর্ষ পর্যায়ের আলেম ছিলেন। ছেলের বিতর্কজনিত আচরণে পিতার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তিনি কোনোভাবে নাজাত লাভ করেন।

আর জনগণ মুক্তি পায় নাসীরুদ্দীন আলবানীকে সিরিয়া থেকে বাহির করে দিয়ে। বাবার বিতাড়িত সন্তান শায়খ আলবানী সিরিয়া থেকে চেপে বসে সৌদী জনতার ঘাড়ে। রাজতন্ত্রের ভয়ে আতঙ্কিত আলেম সমাজের মাঝে তার নতুন মতবাদ ছড়াতে আরো দারুন সুযোগ এসে যায়।

তবে এক পর্যায়ে তাঁদের ঘুম ভাঙ্গে। সবাই সোচ্চার হয় তাঁদের দীর্ঘকালের শায়খ-আলবানীর বিরুদ্ধে। ১৯৯১ খৃস্টাব্দে সরকারী নির্দেশে শায়খ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পবিত্র আরবভূমি ছেড়ে জর্ডান যেয়ে আত্মরক্ষা পায়।

নাসীরুদ্দীন আলবানী সম্পর্কে এগুলো মনে রাখুন

  • নাসীরুদ্দীন আলবানী বাবার বিতাড়িত সন্তান
  • আকাবিদের শানে চরম বেয়দবী করতেন।
  • হাদিসের নামে জালিয়তি করতেন (হাদিসের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বেসিরভাগ ভুল শিদ্ধান্ত নিত)
  • ইমামদের প্রতি বিদ্বেষ রাখতেন
  • কোথাও পড়াশোনা করেননি
  • তার কোন শিক্ষক ছিলনা
  • হাদীসকে বিকৃত করে মুসলমানদেরকে বিভক্ত করার মূল নায়ক ছিলেন ।

এতগুলো খারাপ দিক থাকার পরেও নাসীরুদ্দীন আলবানী কি করে মহাদ্দিস হতে পারেন?

শিক্ষামূলক গল্প-এক কলা বিক্রেতা ও লা মাযহাবী মুফতি

আরব আলেমদের দৃষ্টিতে শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী কেমন ছিলেন? ৪র্থ অধ্যায়

কুরআন হাদীসে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত এবং মুসলিম বিশ্বের চির মীমাংসিত একটি বিষয় হলো, মহিলাদের মুখম-ল ঢেকে রাখা পর্দার অন্তর্ভূক্ত।

কিন্তু শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী শুধু এ বিষয়ে একটি স্বতন্ত্র বই রচনা করেন। ঘোষণা দেন পর্দা হিসেবে মহিলারা তাদের মুখম-ল ঢাকতে হবে তা কুরআন হাদীসে মোটেও নেই। তবে আরবের উলামাগণ এ বিষয়ে নিরব থাকেননি।

শুধু এরই প্রতি উত্তরে প্রায় দু’ডজন বই লিখেছেন তাঁরা। তন্মধ্যে আরবের স্থায়ী ইফতা বোর্ডের সহসভাপতি শায়খ মুহাম্মদ ছালেহ ইবনে উসাইমীন লিখেছেন, “রিসালাতুল হিজাব” শীর্ষক ছোট একটি বই।(মাকতাবাতুল মা’আরিফ, রিয়াদ থেকে প্রকাশিত)

এতে তিনি আল-কুরআনের ১০ টি আয়াত, পবিত্র হাদীস থেকে ১০ টি প্রমাণ এবং ১০ টি ক্বিয়াসের আলোকে প্রমাণ করেছেন যে, মহিলাদের মুখম-ল পর্দা হিসেবে ঢাকা ফরয। আর শায়খ আলবানী তো একটি প্রমাণও খুঁজে পাচ্ছেন না! এর রহস্য কী? কী তার মতলব? কোথায় তার টার্গেট? আশা করি সম্মানিত পাঠকগণই তা বিবেচনা করবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে ও ভারতের কিছু বাংগারী লোক শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীর জালে শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে জেনারেল যুবগ ছেলেরা এই জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন । তারা শায়খ আলবানীর বাড়াবাড়ি, অশ্লীলতা, গোঁড়ামী, ভুলত্রুটির দাস্তান, বিচিত্র আদর্শ ও বিভ্রান্তিকর মতবাদকে পূঁজি করে গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে।

অথচ শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীর এসব বিচিত্র মতবাদের আইওয়াশ ও সিটিস্কেনের লক্ষ্যে শুধু সৌদী আরব থেকেই শতাধিক বই-পুস্তক রচনা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এসব ক্ষেত্রে আমাদের মুসলমান রা চোখ বন্ধ করে রাখে। আর লুফে নেয় শুধু তার বিচিত্র মতাদর্শ ও শিষ্টাচার বহির্ভূত দিকগুলো। তাইতো শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীর শিষ্য ও অনুসারীগণ বাড়াবাড়ি ও অশ্লীলতায় আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।

মুফতী রফীকুল ইসলাম

অতিরিক্ত শব্দ যুক্ত- আ.আ

আহলে হাদিসদের বদ আকিদা জানতে ভিডিওটি দেখুন

Video from Abbasi Tv

এবার এটি পড়ুন- ইমাম আবু হানিফা (রঃ) উপর আহলে হাদিসের মিথ্যা অপবাদের জবাব ।

আমাদের ইংরেজি সাইট ভিজিট করুন- www.imuadvice.com

Spread the love

Leave a Comment