বাররাহ নাম রাখা হারাম কেন?

বাররাহ নাম রাখা হারাম কেন?

বাররাহ একটি সুন্দর নাম মেয়েদের রাখা হয় এই নামের অর্থ হলো পুণ্যবতী, এ নামের অর্থ খুবই সুন্দর।,নামটি ছোট পাশাপাশি শুনতেও ভালো লাগে, খুঁজলে হয়তো অনেক মেয়ের নাম বাররাহ পাওয়া যাবে । অনেকেই এই নাম নিজের অজান্তে রেখেছে । এখন প্রশ্ন হল এই নাম রাখা যাবে কি? যদি রাখা না যায়, তাহলে যার রাখা হয়েছে তারা কি করবে ?

এর উত্তর হলো, আমরা সকলেই জানি নাম রাখার পূর্বে নামের অর্থ দেখে নাম রাখতে হয়, তবে এই নামটি এমনই যার অর্থ খুব সুন্দর, কাওকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো ভুল করে বলে বসবে নামটি রাখা যাবে কেননা অর্থ খুব ভালো । কিন্তু জেনে রাখুন এই নাম রাখা জায়েজ নেই ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ এর মধ্যে এসেছ,
হজরত আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন,যায়নাব (রাঃ) এর নাম ছিলো বাররাহ (পুণ্যবতী)। বলা হয়েছে তিনি নিজেই নিজের পবিত্রতা প্রকাশ করছেন।(এ নাম রাখলে নিজে নিজের প্রশংসা ও নিজের পবিত্রতা বর্ণনা করা হয় তাই যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নাম শুনলেন)
তখন তার নাম (পরিবর্তন করে) যায়নাব রাখলেন।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৭৩২)

এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট বোঝা গেল যে, এ নামের অর্থ ভালো হলেও এই নামটি শরীয়ত বিরোধী একটি নাম । এমন নাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি বরং পরিবর্তন করে দিয়েছেন ।

তাই যদি এনাম নাম কারো রাখা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তা পরিবর্তন করতে হবে ।

সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ইত্যাদির সরকারি প্রমানপত্রে যদি সেই নাম থেকে থাকে ,আর তা পরিবর্তন করা সম্ভব না হয় । তাহলে পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই ।
তবে তার একটি ডাকনাম রাখতে হবে, এবং তাকে রাখা ডাক নাম ধরে সকালে ডাকবে । কেউ যদি আগের নামে ডাকে তাহলে বিষয়টি তাকে খুলে বলবে তাহলে পরবর্তীতে সেও আর পূর্বের নাম ধরে ডাকবে না ।

Spread the love

Leave a Comment