বিড়াল পোষা বা বাড়িতে বিড়াল রাখার হুকুম কি?

বিড়াল পোষার হুকুম

প্রশ্ন:- বাড়িতে বিড়াল পোষা কি জায়েজ ? দয়া করে উত্তরটি জানাবেন ।

উত্তর নং ১৩৪ঃ- আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (صلى الله عليه وسلم) বিড়াল পছন্দ করেন। সাহাবায়ে কেরামগণও বিড়াল পছন্দ করতেন । একজন সাহাবি যার নাম আবু হুরায়রা (বিড়ালের বাবা) তিনি বিড়াল ভালোবাসতেন । তাই নবী (সাঃ) তার উপাধি দিয়েছিলেন আবু হুরায়রা । বিড়াল পোষা ভালো তবে সঠিক ভাবে যত্ন নিতে হবে । সঠিক ভাবে যত্ন না নিতে পারলে ভালোর পরিবর্তে খারাপ হবে ।

হাদিস শরিফের মধ্যে আছে,

“একজন মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করেছে একটি বিড়ালের কারণে। যাকে সে বেঁধে রেখেছিল কিন্তু খাবার দেয়নি, এবং পৃথিবীর কীটপতঙ্গকে খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেয়নি।”
(বুখারি: ৩১৪০)

বিড়াল পোষলে অবশ্যই তার খেয়াল রাখতে হবে । যদি সঠিক ভাবে খিয়াল রাখতে পারেন তাহলে বিড়াল পোষা অবশ্যই জায়েজ হবে ।

বিড়াল অসুস্থ হলে সতর্ক থাকবেন। বিড়ালকে সুস্থ করে তুলার জন্য সুচিকিৎসার ব‍‍্যবস্তা করবেন। এটা হবে আপনার জন্য সওয়াবের কাজ।

বিড়ালের বৈশিষ্ট্য:

  • বিড়ালের লালা বিশুদ্ধ
  • বিড়াল খুব শান্ত
  • পরিস্কার জায়গাতে মল ত্যাগ করে না
  • বিড়াল পরিষ্কার এবং খাঁটি প্রাণী
  • বিড়াল, খাবারে মুখ দিলে তা নষ্ট হয় না

বিড়াল পোষার উপকারিতা:

(ক) আপনি এবং আপনার পরিবার বিড়াল পোষা ও ভালোবাসার সুবাদে অনেক অজানা অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবেন। সেই সাথে উপকৃতও হবেন।

(খ) আপনি যখন ঘুমাবেন এবং আপনার পাশে একটি বিড়াল থাকবে, তখন কোনও অস্বাভাবিক প্রাণী আপনার কাছে আসবে না। কারণ,অস্বাভাবিক প্রাণীগুলো বিড়ালকে ভয় পায়।

(গ) বিড়াল যদি কাঁদে তাহলে এটি আশেপাশের লোকেদের কাছে একটি খবর বা সতর্কবার্তা হতে পারে। ইত্যাদি

এই তথ্যগুলো যদি ভলোলাগে দয়া করে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন ।

এবার পড়ুন-

Spread the love

Leave a Comment