যে সময় স্ত্রীর সঙ্গে মিলন হারাম
প্রশ্নঃ- নিজ স্ত্রীর সঙ্গে মিলন (সহ*বাস) করার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি ? দলিল দ্বারা উত্তর দিলে খুশি হব ।
উত্তর নং ১৩৩ঃ- প্রিয় ভাই প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ । আমরা অনেকেই জানিনা যে, এমন কিছু সময় ও অবস্থা রয়েছে যে সময় ও অবস্থায় নিজ স্ত্রীর সাথেও সহ*বাসে লিপ্ত হওয়াও হারাম। এগু জানার বিষয় না হলে নিজের অজান্তেই ভুল করে বসবে বা অনেকে ভুল করছে, যা কঠিন বড় অপরাধ ।
ইসলামে যে সময় ও পন্থায় নিজ স্ত্রীর সাথেও সহবাস করা হারাম তা নিম্নে আলোজনা করা হলোঃ
১. হায়েজ ও নেফাস অবস্থায়:
অনেক দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিরা স্ত্রীর সাথে হায়েজ অবস্থাতেও সহ*বাসে লিপ্ত হয়। অথচ হায়েজ অবস্থায় সহ*বাসে লিপ্ত হওয়া সম্পুর্ণরুপে হারাম।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
“আর তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দিন,এটা অশুচি(কষ্ট)। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী-গমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। ” (সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২)
এমনিভাবে কোন মহিলার সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর যে কয়েকদিন ব্লাড( রক্ত) আসে এই দিনগুলোকে নেফাস বলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ চল্লিশ দিন।কমের কোন নির্ধারিত মেয়াদ নেই।এই নেফাস চলাকালীন সময়গুলোতেও স্ত্রী সহ*বাস করা হারাম।
২. রোযা অবস্থায়:
মযানের রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহ*বাস করা হারাম। কেননা রোযা হচ্ছে, “আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনসঙ্গম হতে বিরত থাকার নাম। কেউ যদি রোযা অবস্থায় সহবাস করে তাহলে সে অনেক বড় পাপে লিপ্ত হবে, তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।” (ফাতহুল বারী, ৪/১৩২)
তবে, রমযানে রাতের বেলা অর্থাৎ- ইফতারের পর থেকে নিয়ে সাহরি পর্যন্ত সহ*বাস করা সম্পুর্ণরুপে জায়েজ।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “আর সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে।”(সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)
৩. পিছনের রাস্তায়:
অনেক বিকৃত মানসিকতার মানুষ হালাল প্রন্থা ছেড়ে স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাসে লিপ্ত হয়। ইদানিং পশ্চিমা ইতরশ্রেনীর মানুষদের কালচার মুসলিম সমাজেও ছয়লাভ হচ্ছে। অথচ এটি একটি অতিব নোংরা, নিকৃষ্ট কাজ। এই কাজটি তো হারামই, এমনকি কাজটি নবীজি (সাঃ)এর ভাষায় ‘কুফুরীর নামান্তর’।
রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পায়ুপথে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদ (সাঃ)এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’।” (তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯)
অন্য হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পায়ুপথে সহ*বাস করে আল্লাহ তা’আলা তার দিকে তাকাবেন না।” (তিরমিযি, হাদিস নং-১১৬৫)
আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন । পড়া হলে বন্ধুদের সঙ্গে শিয়ার করুন ।
এবার পড়ুন-