লাইলাতুল কদরের সন্ধান -সবে কদর কবে?

 লাইলাতুল কদরের সন্ধান

নবী মহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতের মর্যদা সব থেকে বেশি যদি খাটি উম্মত হয় ৷
এখন কথা হল পূর্বের উম্মতগণ কেও ৩০০ বছর কেও ৪০০ বছর কেও ৫০০ বছর কেও এর থেকেও বেশি পৃথিবীতে জীবিত থেকেছেন আর আল্লাহর এবাদত করেছেন
আর বর্তমান নবী (সাঃ) এর উম্মত ৪০-১০০ বা একটু বেশি কম বেচে থাকে ৷ এবং এবাদত করার সময় কম পেয়ে থাকে ৷
যার ফলে আগের উম্মতের ইবাদত বর্তমান উম্মতের থেকে বেডে় যাবে এবং মর্যদার দিক দিয়েও তারা অগ্রঅধিকার পাবে ৷

তাই আল্লাহ তালা আমাদের এমনই কিছু রাত্রি দিয়েছেন যাতে ইবাদত করলে অনেক বেশি সাওয়াব পাওয়া যায় -তার মধ্যে একটি রাত হল লাইলাতুল কদরের রাত যা হাজার মাসের থেকেও উত্তম ৷
এই রাত্রে ইবাদত করবে আর হাজার মাসের বেসি ইবাদত করার সওয়াব পেয়ে যাবে ৷ এবং আখেরী নবী (সাঃ) এর উম্মতের মর্যদা সব সময় উপরে থাকবে ৷

তাই আমাদের কর্তব্য হল এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা ৷

এই রাত এর পরিচয় কি ভাবে পাবো? ৷ কি ভাবে জানবো এটি লাইলাতুল কদরের রাত? সেই বিষয়ে এবার জানবো ৷

হজরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে লাইলাতুল কাদর সন্ধান করো। (সহিহ বোখারি ২০২০)

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবেকদর সন্ধান করো। (সহিহ বোখারি)

উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদ্‌র সম্পর্কে অবহিত করার জন্য বের হয়েছিলেন। তখন দু’জন মুসলমান ঝগড়া করছিল। তা দেখে তিনি বললেন , আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদ্‌রের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফলে তার (নির্দিষ্ট তারিখের) পরিচয় হারিয়ে যায়। সম্ভবত, এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে তা তালাশ কর।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০২৩

(রমজানের শেষ ১০ দিনে নবম,সপ্তম,পঞ্চম -২৯,২৭,২৫ এর রাত)

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে কদরের রাতে দণ্ডায়মান হয়, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

লাইতুল কদর কবে তার বিভিন্ন মত ও যুক্তি পাওয়া যায় ৷
তবে বিশুদ্ধ মত হল- ২০ রমজানের পর সব বিজোড় রাতগুলির যে কোন একটিতে লাইলাতুল কাদর লুকাইত আছে ৷

এই রাতের কিছু বৈশিষ্ট আছে যার দ্বারা অনুভাব করা যেতে পারে লাইলাতুল কাদর রাত সম্পর্কে ৷

১-এটি রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে হবে ৷

২- রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

৩- নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

৪- মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

৫- সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

৬- কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

৭- ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হওয়া সম্ভাবনা থাকবে।

৮- সকালে পূর্ণিমার চাঁদের মত হাল্কা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে।

Spread the love

Leave a Comment