হায়াতুন নাবী (ﷺ) | সমস্ত নবী (আঃ) কবরে জিবীত এর সঠিক ব্যাখ্যা কী?

আস্সালামু আলাইকুম

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রীয় পাঠক আজ আকিদা বিষয়ক একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা হল,”হায়াতুন নবী (ﷺ)” বা ”জিন্দা নাবী (ﷺ)” আমরা সকলে জানি আমাদের নবী হজরত মোহাম্মাদ (ﷺ) ও সমস্ত নবী (আঃ) ইন্তেকাল করেছেন । তবে সমস্ত নবীগণ (আঃ) কবরে জিন্দা ও আমাদের নবীকে ”হায়াতুন নবী (ﷺ)” কেন বলা হয় এই বিষয়টি সঠিক ভাবে জানব । ”হায়াতুন নবী (ﷺ)” সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা জানতে নিম্নের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ুন । নিম্নের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর  ”হায়াতুন নবী (ﷺ)” সম্পর্কে আপনার ধারনা পরিস্কার হবে । ইন শা অল্লাহ ।


আমরা সকলে জানি যাহারা আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেন তাদের শহিদ বলা হয় । তাদের শাহাদাতের পর জানাজা পড়ে দাফন করা হয় । পরিবারের মানুষ ও সঙ্গী সাথীরা বলেন সে মৃত্যু বরণ করেছেন বা শাহাদত বরন করেছেন বা সে আর জীবিত নেই । মানুষ তাদের মৃত্যু বলে । অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন “ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।” (সুরা আল-বাকারাহ-আয়াত ১৫৪)  আল্লাহ তায়ালা সম্পূর্ণ রূপে শহিদগণকে মৃত বলতে বারণ করেছেন । তাহারা মৃত্যু বরণ করেছেন, তবে আল্লাহ তায়ালা কেন তাদের জীবিত বলছেন?  তাহারা কি রূপ জীবিত সেটা আমরা জনব । শহিদগণের চেয়ে আমাদের নবী (ﷺ) এ মরযদা অনেক বেশি তাহলে আমাদের  নবী (ﷺ) কেন জীবিত হবেন না ?  আমাদের নবী (ﷺ) কবরে জীবিত ,তিনি ইন্তেকালের পর কি রূপ জীবিত সেটা দলীল দ্বারা জানব, ইন শা আল্লাহ । নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হল


আমাদের নবী (ﷺ) ও সমস্ত নবী (আঃ) কবরে জীবিত তার কিছু দলীল

দলীল নাম্বর ১ :- 

عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ…………..‏.‏

হজরত হাস্সাদ বিন আওস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত ,তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের সর্বোত্তম দিন হলো জুমাআহর দিন। এ দিন আদম (আলাইহিস সালাম) -কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে এবং তাতে বিকট শব্দ হবে। অতএব তোমরা এ দিন আমার উপর প্রচুর পরিমানে দুরূদ পাঠ করো। তোমাদের দুরূদ অবশ্যই আমার নিকট পেশ করা হয়। এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কিভাবে আমাদের দুরূদ আপনার নিকট পেশ করা হবে, অথচ আপনি তো অচিরেই মাটির সাথে একাকার হয়ে যাবেন? তিনি বলেন, আল্লাহ ,নবীগণের দেহ ভক্ষণ মাটির জন্য হারাম করেছেন।  (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১০৮৫)

দলীল নম্বর ২ :-

وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: «أَكْثِرُوا الصَّلَاةَ عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَإِنَّه مَشْهُودٌ تَشْهَدُهُ الْمَلَائِكَة

……

হজরত আবুদ্ দারদা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা জুমু’আর দিন আমার প্রতি বেশী পরিমাণ করে দরূদ পড়ো। কেননা এ দিনটি হাজিরার দিন। এ দিনে মালায়িকাহ্ (ফেরেশ্‌তাগণ) হাজির হয়ে থাকেন। যে ব্যক্তি আমার ওপর দরূদ পাঠ করে তার দরূদ আমার কাছে পেশ করা হতে থাকে, যে পর্যন্ত সে এর থেকে অবসর না হয়। আবূদ্ দারদা বলেন, আমি বললাম, মৃত্যুর পরও কি? তিনি (ﷺ)  বললেন: আল্লাহ তা’আলা নাবীদের শরীর ভক্ষণ করা মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন। অতএব নাবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) ক্ববরে জীবিত এবং তিনাদেরকে  রিজিক দেওয়া হয়। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৩৬৬)

উপরে হাদিসে (১ নং দলীল এ) আরমা জেনেছিলাম নবী (আলাইহিমুস সালাম) কবরে জিবীত কিন্তু ২য় হাদিসে আর একটু বেসি কিছু জানতে পারলাম তা হল,নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম)  কবরে আল্লাহর পক্ষ থেতে রিজিকও পেয়ে থাকেন ।

দলীল নম্বর ৩ :-

হজরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (ﷺ)  বলেন,

الانبياء احياءٌ فى قبورهم و يصلون

” নবীগণ নিজ নিজ কবরে জিবীত এবং নামাজ আদায় করে “ ৷ ( বাইহাকী,খাসাইসুল কুবরা)

আমরা উপরে তিনটি হাদিস দ্বারা স্পস্ট জানতে পারলাম নবীগণ  (আলাইহিমুস সালাম) কবরে জিবীত এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে যে খাবার আসে তা তিনারা খেয়ে থাকেন এবং তিনারা কবরে নামাজ পড়েন । আল্লাহ তায়ালা তিনাদের এমন ক্ষমতা প্রদান  করেছেন ।  এবার সামনে একটু আলোচনা আগে বাড়ায় –

দলীল নম্বর ৪ :-

হজরত আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ) থেকে বর্ণিত –

أن النبي ﷺ قال: ما من أحد يسلم علي إلا رد الله علي روحي حتى أرد عليه السلام

”নবী (ﷺ)  বলেন, কোনো মুসলমান আমাকে সালাম দিলে আল্লাহ তায়ালা আমার রূহ ফিরিয়ে দেবেন এবং আমি তার সালামের উত্তর দেব” (আবু দাউদ-সহি সানাদে বর্ণনা করেছেন )

নবী (ﷺ) কে কোনো মুসলমান যদি সালাম দেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা নবী (ﷺ) এর রূহ মোবারক শরীরের মধ্যে ফিরিয়ে দেন এবং নবী (ﷺ) সালামের উত্তর দেন । একটু চিন্তা করুন পৃথিবীতে বর্তমান কত মানুষ নবী (ﷺ) কে সালাম দেয় । সত্য কথা হল এমন কোন মূহুর্ত নেয় যে নবী (ﷺ) কে কেও সালাম দেয়না ,সর্বদা কেওনা কেও সালাম দিতেই আছে ,ফলে নবী (ﷺ) কবরে সর্বদা  জিবীত ,আমরা উপরে সবগুলি হাদিস দ্বারা স্পস্ট জানতে পারলাম নবীগণ  (আলাইহিমুস সালাম) কবরে জিবীত এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে যে খাবার আসে তা তিনারা খেয়ে থাকেন এবং তিনারা কবরে নামাজ পড়েন এবং কেও সালাম করলে তার উত্তর দেন । আল্লাহ তায়ালা তিনাদের এমন ক্ষমতা প্রদান  করেছেন ।

দলীল নম্বর ৫ :-

আসাস ইবনু মালিক  (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,আবূ যার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘(ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার গৃহের ছাদ উন্মুক্ত করা হ’ল। অতঃপর জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম) অবতীর্ণ হয়ে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দ্বারা ধৌত করলেন। অতঃপর হিকমাত ও ঈমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন। পরে যখন দুনিয়ার আকাশে আসলাম জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম) আসমানের রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। আসমানের রক্ষক বললেনঃ কে আপনি? জিব্‌রীল (‘আঃ) বললেনঃ আমি জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম)। (আকাশের রক্ষক) বললেনঃ আপনার সঙ্গে কেউ রয়েছেন কি? জিব্‌রীল বললেনঃ হাঁ মুহাম্মাদ (ﷺ) রয়েছেন। অতঃপর রক্ষক বললেনঃ তাকে কি ডাকা হয়েছে? জিব্‌রীল বললেনঃ হাঁ।

অতঃপর যখন আমাদের জন্য দুনিয়ার আসমানকে খুলে দেয়া হল আর আমরা দুনিয়ার আসমানে প্রবেশ করলাম তখন দেখি সেখানে এমন এক ব্যক্তি উপবিষ্ট রয়েছেন যার ডান পাশে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি রয়েছে আর বাম পাশে রয়েছে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি। যখন তিনি ডান দিকে তাকাচ্ছেন হেসে উঠছেন আর যখন বাম দিকে তাকাচ্ছেন কাঁদছেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ স্বাগতম ওহে সৎ নবী ও সৎ সন্তান। আমি (রসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম)-কে বললামঃ কে এই ব্যক্তি? তিনি জবাব দিলেনঃ ইনি হচ্ছেন আদম (আলাইহিমুস সালাম)। আর তাঁর ডানে বামে রয়েছে তাঁর সন্তানদের রূহ। তার মধ্যে ডান দিকের লোকেরা জান্নাতী আর বাম দিকের লোকেরা জাহান্নামী। ফলে তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বাম দিকে তাকান তখন কাঁদেন। অতঃপর জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। অতঃপর তার রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। তখন এর রক্ষক প্রথম রক্ষকের মতই প্রশ্ন করলেন। পরে দরজা খুলে দেয়া হল। আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ আবূ যার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উল্লেখ করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্‌ (ﷺ) আসমানসমূহে আদম, ইদরীস, মূসা, ‘ঈসা এবং ইব্‌রাহীম (‘আলাইহিমুস সালাম)-কে পান। কিন্তু আবূ যার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাদের স্থানসমূহ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তবে এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আদম (‘আঃ)-কে দুনিয়ার আকাশে এবং ইব্‌রাহীম (‘আঃ)-কে ষষ্ঠ আসমানে পান।
আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, জিব্‌রীল (আলাইহিমুস সালাম) যখন নবী (ﷺ) কে নিয়ে ইদরীস (আলাইহিমুস সালাম) নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তখন ইদরীস (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ মারহাবা ওহে সৎ ভাই ও পুণ্যবান নবী। আমি (রসূলুল্লাহ্‌ – ﷺ) বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেন, ইনি হচ্ছেন ইদরীস (আলাইহিমুস সালাম)। অতঃপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেন, মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেন, ইনি মূসা (আলাইহিস সালাম)। অতঃপর আমি ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেন, মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললাম, ইনি কে? জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, ইনি হচ্ছেন ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)। অতঃপর আমি ইব্‌রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে তিনি বলেন, মারহাবা হে পুণ্যবান নবী ও নেক সন্তান। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ইব্‌রাহীম (আলাইহিমুস সালাম)। ইব্‌নু শিহাব বলেন, ইব্‌নু হায্‌ম (রহঃ) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ইব্‌নু ‘আব্বাস ও আবূ হাব্বা আল-আনসারী উভয়ে বলতেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল অতঃপর এমন এক সমতল স্থানে এসে আমি উপনীত হই যেখানে আমি লেখার শব্দ শুনতে পাই।

ইব্‌নু হায্‌ম ও আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেনঃ অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করি তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললামঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার নিকট ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মাত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তা’আলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (আলাইহিমুস সালাম)-এর নিকট পুনরায় গেলাম আর বললামঃ কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আপনি পুনরায় আপনার রবের নিকট ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মাত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেয়া হল। আবারো মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট গেলাম, এবারো তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের নিকট যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেনঃ এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোন রদবদল হয় না। আমি পুনরায় মূসা (‘আঃ)-এর নিকট আসলে তিনি আমাকে আবারও বললেন, আপনার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় যান। আমি বললাম, পুনরায় আমার প্রতিপালকের নিকট যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। অতঃপর জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর তখন তা বিভিন্ন রঙে আবৃত ছিল, যার তাৎপর্য আমি অবগত ছিলাম না। অতঃপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হলে আমি দেখতে পেলাম যে, তাতে রয়েছে মুক্তোমালা আর তার মাটি হচ্ছে কস্তুরী। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪৯)


নবীগণ ইন্তেকালের পর কবরে জিবীত রয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা তিনাদের জিবীত রেখেছেন,এবং তিনারা যখন যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন ,উপরের হাদিসগুলি দ্বারা তা স্পস্ট প্রমানিত হয়েছে, মহান আল্লাহ তায়ালা তিনাদের এই ক্ষমতা দান করেছেন ।

 

Spread the love

1 thought on “হায়াতুন নাবী (ﷺ) | সমস্ত নবী (আঃ) কবরে জিবীত এর সঠিক ব্যাখ্যা কী?”

  1. আচ্ছা ভাই নবী (সঃ) যেখানে ইচ্ছে যেতে পারেন, তার মানে তিনি আসেন এবং সবকিছু দেখেন তাইতো। যদি এটাই হয় তবে তিনি কিছু করেন না কেন?

    Reply

Leave a Comment