গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি হাদীস- 50 Hadith in Bangla

গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি হাদীস

১.রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়। (সহীহুল বুখারী ৫০২৭)

২.রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় ১ দিনও সিয়াম পালন করে আল্লাহ তার মুখমন্ডলকে জাহান্নামের আগুন হতে ৭০ বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন। (সহীহুল বুখারী২৮৪০)

৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, কোনো বান্দা যখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি সেজদা দেয় আল্লাহ এর বিনিময় একটি নেকি লিখে দেন এবং একটি গুনাহ মুছে দেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। (সহীহ মুসলিম ১১২১)

৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, পিতার সন্তুষ্টিই আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তুষ্টিই আল্লাহর অসন্তুষ্টি। (তিরমিজি – ১৮৯৯)

৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,তোমাদের কেউ যখন খাবার খায় তখন সে যেনো পাত্রের মাঝখান থেকে খাবার না খায়, সে যেনো পাত্রের এক পাশে থেকে নিয়ে খায়। (আবু দাউদ ৩৭৭২)

৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা আমল করতে থাকো তোমাদের উত্তম আমল হচ্ছে সালাত (সহীহ আত তারগীব – ৩৭২)

৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি এশা ও ফজরের সালাত জামাতের সাথে আদায় করলো সে যেনো সারারাত ইবাদতে কাটালো। (সহীহ মুসলিম ১৫২৩)

৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে এর প্রতিদানে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। (সহীহ মুসলিম হা/৮৭৫)

৯. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি অক্ষর পাঠ করে, তার প্রতিদান একটি সাওয়াব পায়, আর প্রতিটি সাওয়াবে ১০ গুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। (সহীহ আল -জামি হা/ ৬৪৬৯)

১০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সাধারণ দরিদ্র ব্যক্তিকে সদকা দিলে কেবল সদকার সওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়কে সদকা করলে সদকাহও হবে এবং আত্মীয় রক্ষা হবে। (তিরমিযী হা/ ৬৫৮)

১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তোমাদের শরীর আকৃতিও বেশভূষার দিকে দৃষ্টি দেবেন না। বরং তিনি দৃষ্টি দেন তোমাদের অন্তরের প্রতি।
(সহীহ মুসলিম হা/ ৬৭০৭)

১৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সৎকাজের পথ প্রদর্শক উক্ত কাজের সম্পাদনকারী সমোতুল্য। (তিরমিযী হা/ ২৬৭০)

১৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে সকালে দশবার ও সন্ধ্যায় দশবার আমার উপর দুরুদ পাঠ করবে সে কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভ করবে। (সহীহ জামিউস সাগীর হা/ ৮৮১১)

১৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে লোকের সামনে আমার নাম উচ্চারণ করা হয় এবং সে আমার প্রতি দুরুদ পাঠ করেনি সে-ই- হচ্ছে কৃপণ। (তিরমিযী হা/ ৩৫৪৬)

১৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে গোরস্থানে পরিণতো করো না। যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় তা শয়তান প্রবেশ করে না (সহীহ মুসলিম হা/ ১৮৬০)

১৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। (সহীহুল বুখারী ৪৬২৪)

১৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন আল্লাহ যার ভালো চান তাকে বিপদগ্রস্ত করেন। (সহীহুল বোখারী – ৫২১৩)

১৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন তোমরা সাদা পোশাক পরিধান করো কেনোনা ওটাই সবচাইতে পবিত্র ও সর্বাধিক উত্তম। (ইবনু মাজাহ হা/ ৩৫৬৭)

২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে মানুষকে দয়া করে না সে আল্লাহর দয়া পায় না আর যে মানুষকে ক্ষমা করে না সে আল্লাহর ক্ষমা পায় না। (তিরমিযী হা/১৯২২)

২১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, কেয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির আমলনামায় সচ্চরিত্রের চাইতে ভারী আর কোনো ‘আমল হবে না। (আবু দাউদ – ৪৭৯৯)

২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ধন সম্পদের যাকাত আদায় করছে তার কাছ থেকে আপদ বালাই দূর হয়ে গেছে। (সহীহ আত-তারগীব- ৭৪০)

২৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেওয়া। (তিরমিযী হা/ 26-28)

২৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা জাহান্নামের আগুন হতে আত্মরক্ষা করো যদিও তা এক টুকরো খেজুর দ্বারা হয়। (সহীহুল বুখারী-৩২২৮)

২৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে আমার উপরে দুরুদ পাঠ করতে ভুলে যায় সে জান্নাতের পথ চিনতে ভুল করবে। (ইবনু মাজাহ – ৯০৮)

২৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, জেনে রাখো সূরা এখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমোতুল্য। (সহীহুল বুখারী ৪৬২৭)

২৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, মুসলমানের প্রতি যখন কোনো বিপদ কোনো রোগ কোনো ভাবনা কোনো চিন্তা কোনো কষ্ট কোনো দুঃখ এমনকি কোনো অসুস্থ হলে এর দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন। (সহীহুল বুখারী ৫২১০)

২৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগীকে দেখতে রওনা হয় সে আল্লাহর রহমতে সাগরে সাঁতার কাটতে থাকে যতোক্ষণ না সে এগিয়ে এসে ঘরে বসে যখন সেখানে গিয়ে বসে সে রহমতের সাগরে ডুবিয়া গেলো। (আহমদ- ১১৬৬)

২৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, কোনো বান্দা কিছু খেয়ে বা পান করে আল্লাহর প্রশংসা করলে আল্লাহ তার উপর খুবই খুশি হন। (সহীহ মুসলিম ৭১০৮)

৩০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সর্বোত্তম নেকীর কাজ হচ্ছে পিতার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখা। (সহীহ মুসলিম ৬৪৭৭)

৩১.রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে মানুষকে দয়া করে না সে আল্লাহর দয়া পায়না আর মানুষের ক্ষমা করে না সে আল্লাহ আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেনা (সহীহুল বুখারী ৬৮২৮)

৩২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়ার কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। (তিরমিযী হা ১৯৩০)

৩৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, লজ্জাশীলতার ফল সর্বদাই ভালো হয়ে থাকে। (সহীহুল বোখারী – ৫৬৫২)

৩৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ ধরে আল্লাহ তার জন্য এর দ্বারা জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। (সহীহ মুসলিম – ৭০২৮)

৩৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি এতো গোপনে সদকা করে যে ডান হাত যা দান করে তা বাম হাত টের পায় না। (সহীহুল বুখারী ৬২০)

৩৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন কোনো মুসলিম নিজো পরিবারের প্রতি কোনো খরচ করে এবং সাওয়াবের আসায় করে, সেটা তার পক্ষে সদকা স্বরূপ। (সহীহুল বুখারী ৪৯৩২)

৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (সহীহ আত-তারগীব- ৫০২)

৩৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, কারো সাথে উত্তম কথা বলাও একটা সদকা। (সহীহুল বোখারী ২৭৬৭)

৩৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা আমার পক্ষ হতে কোরআন ও সুন্নাহর একটি কথা হলেও পৌঁছে দাও। (তিরমিজি ২৬৫৭)

৪০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করালো তার জন্য উক্ত রোজাদারের সমোপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, সাওয়াবের কমতি হবে না। (তিরমিজি ৮০৭)

৪১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে লোকে যতোদিন, অবিলম্বে ইফতার করবে ততোদিন কল্যাণে থাকবে। (সহীহুল বোখারী- ১৮২১)

৪২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা সেহরি খাওয়া ও যদিও তা এক ঢোক পানি দিয়েও হয়। (ইবনে হিব্বান-৩৪৭৬)

৪৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
রোজা হলো ঢালস্বরূপ বান্দা এর দ্বারা নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। (আহমদ- ১৪৬৬৯)

৪৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ বলেন রোজা আমার জন্যই আমি নিজে হাতে তার পুরস্কার দেবো। (সহীহুল বুখারী- ১৭৭১)

৪৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, রোজাদারের মুখের সুগন্ধি আল্লাহর নিকট মেস্কোর সুগন্ধি সাহিত্য বেশি সুগন্ধিযুক্ত। (সহীহুল বোখারী ১৭৭১)

৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, জমিনের উপর সর্বোত্তম পানি হলো জমজমের পানি।
(তাবারানি কাবির- ১১০০৯)

৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, রমজান মাস এলে ওমরা করে নেবে কেনোনা রমজানের একটি ওমরা একটি হজের সমোতুল্য। (সহীহ মুসলিম- ৩০৯৭)

৪৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাতঃ ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা তার মধ্যকার কণাসমূহের কাফফারা স্বরূপ। (আহমাদ ৯৯৪১)

৪৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে আমার অনুসরণ করলো সে আল্লাহর অনুসরণ করলো
আর যে আমার নাফরমানী করলো সে আল্লাহর নাফরমানী করলো। (সহীহুল বুখারী-২৭৩৭)

৫০, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা সাহরি খাও। কেনোনা, সাহরিতে বরকত নিহিতো আছে (সহীহুল বুখারী ১৯২৩) ৫০.খ. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
দুই শ্রেণীর চক্ষু কে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না এক যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে দুই যে চোখ আল্লাহর পথে পাহারা দিয়ে নিন্দ্রা রাত কাটায়। (তিরমিযী ১৬৬৩

এবার পড়ুন-

Spread the love

Leave a Comment