রমজানের প্রস্তুতি নিতে এই কাজগুলো করুন

রমজানের প্রস্তুতি নিতে হবে রমজান শুরু হওয়ার আগেই । রমজানের রোজা মুমিনকে আত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ করে। রমজানের রোজা আল্লাহ তায়ালার কাছে এতোটাই প্রিয় যে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এর প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব। (মুসলিম, হাদিস, ২৭৬০)।

যেহেতু এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি তাই এই মাস আসার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে কেননা এ মাসটি খুব সুন্দর ভাবে কাটাতে হবে এবং এই মাসের সমস্ত ফজিলত অর্জন করতে হবে ।

রমাজান আসার আগে যে কাজগুলি আমাদের সেরে নিতে হবে তা হলো-

(২) রামাজানের জন্য পরিকল্পনা তৈরি: যেহেতু রমাজান মাস একটি ফজিলত পূর্ণ মাস তাই এবাদত এর বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরী করতে হবে যেমন-
(১)সম্পূর্ণ কুর’আন খতম দেয়া ।
(২) নিয়মিত তারাওয়ীর নামাজ আদায় করা ।
(৩) ইফতারে আমন্ত্রণ করা।
(৪) দান খয়রাত করা ।
(৫) অতিরিক্ত নফল ইবাদত করা, ইত্যাদি

এই রামাজানে আপনি কোন ইবাদাতগুলো করতে চান তার একটি তালিকা তৈরি করুন, তারপর পরিকল্পনা করুন সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার পরিকল্পনাগুলো যেন বাস্তবসম্মত হয় এবং সেগুলো যাতে আপনার স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় কোন ব্যাঘাত না ঘটায় ।

(৩) সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা: রমজান মাসের জন্য পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে । যেমন অতিরিক্ত কাজ থাকলে সে কাজগুলো সেরে নিতে হবে । শরীরের মধ্যে ছোটখাটো সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করে তা সারিয়ে নিতে হবে । দানের পরিমাণ কত হবে তার একটা বাজেট তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করে নিতে হবে ।

(৪) রিভাইজ করা: রোজার নিয়ত, ইফতারের দোয়া, বিভিন্ন সূরা, বিভিন্ন ফজিলত পূর্ণ দোয়া গুলি এবং তারাবির নামাজের সম্পূর্ণ নিয়ম । রমাজান আসার আগেই ভালোভাবে রিভাইস করে নিতে হবে । এতে রমজান মাসের ইবাদতের মনোযোগ আরো বেশি বৃদ্ধি হবে ।

(৫) বদ অভ্যাসগুলোকে বর্জন করা: নিজের বদ অভ্যাসগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সেগুলো চিরতরে বিদায় দিতে হবে। আপনার যদি দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে, তবে এখন থেকেই তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করুন; আপনি যদি ফেসবুক আসক্ত হোন তবে এখন থেকেই ফেসবুক কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন কোন নেশা করে থাকলে তা বর্জন করুন, গান শোনা ও সিনেমাদেখা বর্জন করুন । আমরা সবাই জানি কোন কিছু বলা খুব সহজ কিন্তু করা কঠিন। তবে আপনি যদি একবার শুরু করেন এবং আপনার নিয়্যাত যদি বিশুদ্ধ থাকে তবে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। ইনশা আল্লাহ সহজেই আপনার বদ অভ্যাসগুলো ছেড়ে দিতে পারবেন।

রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে এ সমস্ত কাজ গুলি করে ফেলতে পারলে রমজানের ফজিলত ইনশাল্লাহ পরিপূর্ণভাবে আদায় করা যাবে এবং রোজা রাখার ক্ষেত্রে ও নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে মনোযোগী হওয়া পাবে ।

যে সব কারণে রোযা না রাখার অনুমতি আছে

লাইলাতুল কদর/ শবে কদরের ৭টি আলামত

Spread the love

Leave a Comment