অল্পে তুষ্টির বড় ফযিলত
অল্পে তুষ্ট থাকাটা এতই ফযিলত-মন্ডিত!! কারণ এই গুণটা অর্জন করা এতটা সহজ বিষয় না, মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ, সে যত পায় তত চায়।
অল্পে তুষ্টির ফযিলত ১
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেনঃ বনী আদমের জন্য যদি এক উপত্যকা পরিমাণ ধনসম্পদ থাকে তাহলে, সে আরও ধন অর্জনের জন্য লালায়িত থাকবে। বনী আদমের (লোভী) চোখ মাটি (মৃত্যু) ছাড়া আর কিছুই তৃপ্ত করতে পারবে না। তবে যে তওবা করবে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। (সহীহ বুখারী ৬৪৩৭)
অল্পে তুষ্টির ফযিলত ২
হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি অল্প রিযিকে সন্তুষ্ট হবে, আল্লাহ্ তাআ’লা তার অল্প আমলে সন্তুষ্ট হবেন। আর আল্লাহ’র পক্ষ থেকে প্রশস্ততার অপেক্ষা করা হচ্ছে ইবাদত। (শুআবুল ঈমান ৯৫৩১)
অল্পে তুষ্টির ফযিলত ৩
রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ হে আবূ হুরায়রা! তুমি আল্লাহভীরু হয়ে যাও, তাহলে লোকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী হতে পারবে। তুমি অল্পে তুষ্ট থাকো, তাহলে লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম কৃতজ্ঞ হতে পারবে। তুমি নিজের জন্য যা পছন্দ করো, অন্যদের জন্যও তাই পছন্দ করবে, তাহলে পূর্ণ মুমিন হতে পারবে। তোমার প্রতিবেশীর প্রতি সদাচারী ও দয়াপরবশ হও, তাহলে মুসলমান হতে পারবে। কম হাসবে কেননা অধিক হাসি অন্তরাত্মাকে ধ্বংস করে। (সূনান ইবনে মাজাহ ৪২১৭)