ইফতারে তরমুজ খাওয়া ও নবী (সাঃ) এ উপদেশ
তরমুজ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কি বলেছেন তা জানব এবং সাধারনত তরমুজ খেলে বা তরমুজ দ্বারা ইফতার করলে কি উপকার লাভ করা যায় তাও আলোচনা করব ।
আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত সমূহের মধ্যে তরমুজ হলো এক অন্যতম বড় নেয়ামত যা খেয়ে মানুষ তৃপ্তি লাভ করে ,তরমুজ খেলে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা নিবারণ হয়, পাকা লাল টুকটুকে মিষ্টি তরমুজ খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে । এই তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি থাকে যা শরীরে পানির অভাব পূরণ করে । শরীরে পানির অভাব পূরণে ফলের মধ্যে তরমুজই হলো আদর্শ ফল।
সাধারণত আমরা মুসলমানরা অন্যান্য মাসের চাইতে পবিত্র রমজান মাসে শক্তি সঞ্চয় করার জন্য ফল বেশি খেয়ে থাকি । তার মধ্যে তরমুজ অন্য তম প্রিয় ফল ।
এবার ইফতারে বা অন্য সময় তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা কি তা আলোচনা করব ,তার পর তরমুজ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হাদিসের মধ্যে কি বলেছেন তা তুলে ধরব ।
তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা
(১) শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে ও ক্লান্তি দূর করে ।
(২) তরমুজ হার্টকে সুস্থ রাখে ।
(৩) তরমুজ ত্বকের উপকার করে ও শরীর ও চেহারার সৌন্দর্য বাড়ায় ।
(৪) তরমুজ কিডনি বা বৃক্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ।
(৫) তরমুজ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ।
(৬) তরমুজ হাড় সুস্থ রাখে ।
(৭) তরমুজ রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখে ।
(৮) তরমুজ প্রোস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ।
কেউ তরমুজ ফ্রিজে রেখে হালকা ঠান্ডা করে খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । অতিরিক্ত ঠান্ডা তরমুজ খেলে পাকস্থলীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
এবার জানবো তরমুজ সম্পর্কে হাদিসের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা) কি বলেছেন ।
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাজা খেজুর দিয়ে তরমুজ খেতেন। তিনি বলতেনঃ এর ঠান্ডা ওটার গরম কমাবে, এবং এর গরম ওটির ঠান্ডা কমিয়ে দিবে।
[আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৮৩৬]
অর্থাৎ খেজুর ও তরমুজ একসঙ্গে খেলে দুটোর কম্বিনেশন শরীরের মধ্যে যাবতীয় ক্লান্তি দূর করে এবং শরীর সুস্থ রাখে ।
তাই যদি কেউ ইফতারে তরমুজ খেতে চান তাহলে তার সঙ্গে কয়েকটি খেজুর অবশ্যই খাবেন । সারাদিন না খেয়ে হঠাৎ তরমুজ খেলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই তরমুজের সঙ্গে খেজুর খেলে ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচা যায় ।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাদের ভাল লেগেছে । যদি ভাল লাগে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন । আল্লাহ হাফিজ