ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ

ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
সম্মানিত প্রিয় পাঠক/পাঠিকা পৃথিবীতে অশান্তি অরাজকতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
যত্রতত্র দাঙ্গা, গণহত্যা,খুন, ধর্ষণ এবং হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ধরণের কর্মকান্ড ইসলাম কখনই সমর্থন করে না বরং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও বিরোধীতা করেছে।

১) আমরা দেখে নেব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন মাজীদের অবস্থান কি রয়েছে।

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,
وَ لَا تَبۡغِ الۡفَسَادَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡمُفۡسِدِیۡنَ ( سورة القصص ٢٨:٧٧)
অর্থাৎ:- পৃথিবীতে বিপর্যয় বা সন্ত্রাস করার ইচ্ছা পোষণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা সন্ত্রাসীদের ভালো বাসেন না ( সূরাতুল ক্বাসাস ২৮:৭৭)।

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা দূরের কথা ইচ্ছা পোষণ বা মনস্থ করতেও আল্লাহ্ তা’আলা নিষেধ করেছেন।আর আল্লাহ্ তা’আলা সন্ত্রাসীদের পছন্দ করেন না।

আমার প্রশ্ন:- ক্বুরআনের এমন নির্দেশ সত্ত্বেও কোন মুসলিম কিভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে?

দ্বিতীয় আয়াত:-

সূরা ২৮. আল-কাসাস

আয়াত নং ৮৩

تِلۡکَ الدَّارُ الۡاٰخِرَۃُ نَجۡعَلُہَا لِلَّذِیۡنَ لَا یُرِیۡدُوۡنَ عُلُوًّا فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا فَسَادًا ؕ وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۸۳﴾

অনুবাদঃ

এই হচ্ছে আখিরাতের নিবাস, যা আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, যারা যমীনে ঔদ্ধত্য দেখাতে চায় না এবং সন্ত্রাস বা ফাসাদও চায় না। আর শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য( সুরাতুল ক্বাসাস ২৮:৮৩)।

এই আয়াতে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করলে তারা জান্নাতী।

আমার প্রশ্ন:- পৃথিবীতে ত্রাস বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেন একজন মুসলিম জান্নাত হারাবে?

তৃতীয় নং আয়াত:-

সূরা ৫. আল-মায়েদা

আয়াত নং ৩৩

اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِیۡنَ یُحَارِبُوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ یَسۡعَوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ فَسَادًا اَنۡ یُّقَتَّلُوۡۤا اَوۡ یُصَلَّبُوۡۤا اَوۡ تُقَطَّعَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَرۡجُلُہُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ اَوۡ یُنۡفَوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ ؕ ذٰلِکَ لَہُمۡ خِزۡیٌ فِی الدُّنۡیَا وَ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿ۙ۳۳﴾

অনুবাদঃ

যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহা আযাব (সূরাতুল মায়িদাহ্ ৫:৩৩)।

এই আয়াত থেকে প্রমাণিত যে,সন্ত্রাসীদের কঠিনতম শাস্তি রয়েছে।

১) হত্যা।

২) ফাঁসি।

৩) বিপরীত মূখী হাত পা কেটে দেওয়া।

৪)দেশ থেকে বিতাড়ন।

এগুলো হলো সন্ত্রাসীদের পার্থিব শাস্তি।

আয়াতের শেষে মূল শাস্তির কথা উল্লেখিত হয়েছে:-

৫) আখিরাতে মহা আযাব। অর্থাৎ জাহান্নামের কঠিনতম শাস্তি।

প্রশ্ন:- একজন মুসলিম কেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে পার্থিব শাস্তি এবং জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে?

সূরা ৫. আল-মায়েদা

আয়াত নং ৩২

مَنۡ قَتَلَ نَفۡسًۢا بِغَیۡرِ نَفۡسٍ اَوۡ فَسَادٍ فِی الۡاَرۡضِ فَکَاَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَ مَنۡ اَحۡیَاہَا فَکَاَنَّمَاۤ اَحۡیَا النَّاسَ جَمِیۡعًا

অনুবাদঃ

যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল ( সূরাতুল মায়িদাহ্ ৫:৩২)।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা! কোন একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানব জাতিকে হত্যা করা।

প্রশ্ন:- কেন কোন মুসলিম কোন মানুষকে হত্যা করে সমগ্র মানব জাতিকে হত্যার মত জঘন্য ঘৃণিত কাজ করবে?

সূরা ১৩. আর-রাদ

আয়াত নং ২৫

وَ یُفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۙ اُولٰٓئِکَ لَہُمُ اللَّعۡنَۃُ وَ لَہُمۡ سُوۡٓءُ الدَّارِ ﴿۲۵﴾

অনুবাদঃ

এবং যারা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে, তাদের জন্যই লা‘নত আর তাদের জন্যই রয়েছে আখিরাতের নিকৃষ্ট বাসস্থান বা মন্দ আবাস ( সূরাতুর রা’দ ১৩:২৫)।

এই আয়াত থেকে প্রমাণিত যে, সন্ত্রাসীদের দুটো শাস্তি।

১) তাদের উপর লা’নত বা অভিশাপ।

২) নিকৃষ্ট বাসস্থান বা জাহান্নাম।

প্রশ্ন:- কেন কোন মুসলিম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে অভিশপ্ত এবং জাহান্নামী হবে?

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা এবারে হাদীস থেকে।

অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ নিঃসৃত বাণী থেকে।

এই হাদীসটি দেখুন:-

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ الثُّومِ – وَقَالَ مَرَّةً مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ – فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে এ রসুন জাতীয় উদ্ভিদ খাবে- কোন কোন সময় আবার তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পিয়াজ, রসুন বা মূলা খাবে সে যেন আমার মাসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায় ফেরেশ্তা বা মালাইকাহ্গণও সেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায় ( সহীহ্ মুসলিম হাদীস নং ১১৪১)।

এই হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, পেঁয়াজ, রসুন ও মূলার গন্ধেও মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।

প্রশ্ন:- পেঁয়াজ, রসুন ও মূলার গন্ধে যদি কোন মানুষকে কষ্ট দেওয়া বৈধ না হয়, তবে কিভাবে মুসলিমরা সন্ত্রাসী হতে পারে?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈমানের অঙ্গ হল রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা।

হাদীসটি দেখুন:-

إِمَاطَةُ الْأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ

রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা হল ঈমানের অঙ্গ ( সহীহ্ মুসলিম হাদীস নং ৩৫)।

প্রশ্ন:- রাস্তা দিয়ে মুসলিম অমুসলিম সকলেই যাতায়াত করে। রাস্তায় পড়ে থাকা কষ্টকর জিনিস সরিয়ে ফেলা যদি ঈমান হয়, তবে কোন মুসলিম কখনো কোন ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

نْ أَبِي شُرَيْحٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ ‏”‏‏.‏ قِيلَ وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَايِقَهُ ‏”‏‏.‏

আবূ শুরায়হ্ (রাঃ) থেকে বণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বলছিলেনঃ আল্লাহর শপথ! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহর শপথ! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহর শপথ! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! কে সে লোক? তিনি বললেনঃ যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না( সহীহ্ মুসলিম হাদীস নং ৬০১৬)।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হল যে, প্রতিবেশী মুসলিম হোক আর অমুসলিম হোক কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।

প্রশ্ন:- কোন প্রতিবেশীকে যদি কষ্ট না দেওয়া যায়,সেই ইসলামের অনুসারী মুসলিমরা কিভাবে সন্ত্রাসী হয়?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

হাদীসটি দেখুন:-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ النَّاسُ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالْمُؤْمِنُ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ঐ ব্যাক্তি যার হাত ও রসনা হতে অন্য মানুষ নিরাপদ থাকে। আর মু’মিন ঐ ব্যক্তি যার থেকে অন্য লোক নিজের জান ও মালকে নিরাপদ মনে করে ( সুনান নাসাঈ হাদীস নং ৪৯৯৪)।

আল্লামাহ্ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ হাদীসটি সহীহ্ বলেছেন ( সিলসিলাতুল আহাদীসুস সাহীহাহ্ হাদীস নং ৫৪৯)।

এই হাদীসে মুসলিমের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মুসলিমদের কাছে পৃথিবীর যে কোন মানুষ নিরাপদ থাকে।

প্রশ্ন:- পৃথিবীর যে কোন মানুষের জানমাল মুসলিমদের কাছে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ থাকার পরও কিভাবে মুসলিমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

হাদীসটি দেখুন:-

رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَةَ الْهِرَّةِ الَّتِي رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا

এছাড়া জাহান্নামের মধ্যে ঐ মহিলাকেও দেখতে পেলাম যে, একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। এরপর এটাকে আহারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারত। শেষ পর্যন্ত বিড়ালটি ক্ষুধায় ছটফট করে মারা গেল ( সহীহ্ মুসলিম হাদীস নং ১৯৮৭)।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা মন্ডলী! সামান্য একটি বিড়ালকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলার কারণে একজন মহিলাকে জাহান্নামে যেতে হয়েছে।

প্রশ্ন:- একটি বিড়ালকে না খেতে দিয়ে মরে যাওয়ার ফলে যদি জাহান্নামে যেতে হয়, তবে কোন মুসলিম কোন মানুষকে মেরে কেন জাহান্নামে যাবে এবং জান্নাত হারাম করে নেবে?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

হাদীসটি দেখুন:-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَا رَجُلٌ يَمْشِي فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ فَنَزَلَ بِئْرًا فَشَرِبَ مِنْهَا ثُمَّ خَرَجَ فَإِذَا هُوَ بِكَلْبٍ يَلْهَثُ يَأْكُلُ الثَّرَى مِنْ الْعَطَشِ فَقَالَ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا مِثْلُ الَّذِي بَلَغَ بِي فَمَلأخُفَّهُ ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ ثُمَّ رَقِيَ فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّ لَنَا فِي الْبَهَائِمِ أَجْرًا قَالَ فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল যে, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে মুখ দিয়ে সেটি ধরে উপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ তা‘আলা তার আমল কবূল করলেন এবং আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন। সহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সাওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক প্রাণীর উপকার করাতেই পুণ্য রয়েছে( সহীহুল বুখারী হাদীস নং ২৩৬৩)।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা মন্ডলী!

এই হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, একটি কুকুরকে পানি পান করিয়েও এক ব্যক্তি ক্ষমা প্রাপ্ত। অর্থাৎ জান্নাতী। এমনকি প্রত্যেক প্রানীর উপকার করলে নেকি পাওয়া যায়।

প্রশ্ন:- একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে যদি জান্নাতে যায়, তবে কেন কোন মুসলিম কোন মানুষকে হত্যা করবে?সে কি মানুষকে কষ্ট থেকে উদ্ধার করে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে না?

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা মন্ডলী!

লেখনীর কলেবর বৃদ্ধি না করে পরিশেষে বলতে চাই, কোন মুসলিম কোন মানুষকে হত্যা দূরের কথা কষ্ট পর্যন্ত দিতে পারে না।

হোক সেটা মুখ বা হাত দ্বারা।

উপসংহার:-

আমাদের প্রত্যেক মানুষের উচিত স্বীয় ধর্মকে ভালোভাবে জেনে পালন করা এবং মানুষ মানুষের জন্য কাজ করা, একে অপরের সহায়তায় এগিয়ে আসা মৌলিক দায়িত্ব।

আমাদের আবেগী না হয়ে বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে।

পৃথিবীতে যত সন্ত্রাসী সংগঠন আছে,আই সিস,আল কায়দা,জে এম বি এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন ইত্যাদি,এগুলোর সঙ্গে ইসলাম ও মুসলিমদের কোন সম্পর্ক নেই।

আমি মনে করি এগুলো ইহুদী চক্রান্ত। বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ইসলামী নাম দিয়ে ইসলাম ও মুসলিমদের কলুষিত করতে চাই।

লেখেছেন- মাওলানা মুসলেহুদ্দিন

Spread the love

Leave a Comment