কত বছর বয়স থেকে নামাজ পড়তে হবে ?
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘সাত বছর বয়স হলে তোমরা তোমাদের সন্তানদের নামাজের জন্য নির্দেশ দাও। বয়স ১০ বছর হলে (নামাজ না পড়লে) তাদের প্রহার করো এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’
( মুসনাদে আহমদ : ৬৭৫৬)।
সাত বছর বয়েসে নামাজের নির্দেশ দিতে হবে (নামাজের নিয়ম কানুন শিক্ষা দিয়ে নামাজের প্রতি আগ্রহী হরে তুলতে হবে) , ১০ বছর বয়েসে প্রহার করতে হবে (নামাজ পড়ার প্রতি জোর দিতে হবে না পড়লে শাসন করতে হবে) এবং বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্কো হলে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে ( বলেগ হওয়ার পর নামাজ ফরজ হয়ে যায়)। বিভিন্ন আলামত প্রকাশ বা বয়স ১৫ হলে বালেগ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার সময় থেকে নামাজ ফরজ হয়। ছেলেদের বেলা এর নিদর্শন নানাভাবে প্রকাশিতো হয়। তন্মধ্যে স্বপ্নদোষ অন্যতম। মেয়েদের বয়ঃসন্ধির বিভিন্ন নিদর্শন আছে। প্রধান নিদর্শন হলো মাসিকস্রাব। এ নিদর্শন প্রকাশ হওয়ার পর নামাজ ফরজ হয়ে যায়।
সঠিক প্রশ্ন খুজে বের করাও একটা কাজ। আজ মনে মনে চিন্তা করে জানার ইচ্ছা হলো। তাই জানলাম। জীবনে কত নামাজ বাদ দিয়েছি, তারও একটা ধারনা বের করা যাবে।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড.। আর কি কি উপায় আছে? হেঁ আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিন।
ছুটে যাওয়া সমস্ত নামাজের আনুমানিক সহসাব করে কাজা আদায় করতে হবে ।
ছুটে যাওয়া সমস্ত নামাজের কাজা আদায় করার কোন প্রমান কোথাও নেই। সাহাবিরা বেশির ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক হবার অনেক পর ইসলাম গ্রহণ করেছেন কিন্তু কেউই আগের জীবনের নামাজ কাযা করেন নাই এবং রাসূলও এমন কোন নির্দেশ দেন নাই।
-নব মুসলিমের জন্য বিষয়টা আলাদা-
যেদিন থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে সেইদিন থেকে তার প্রতি নামাজ ফরজ হবে ।এরপর নামাজ কাজা হলে সেটা আবার আদায় করতে হবে । আর যারা মুসলমান নামাজ কাজা করে সেই নামাজ আদায় না করলে মাফ হবে না । এমন একটি দলিল খুঁজে পাওয়া যাবে যে,কোন সাহাবীর কোন ক্ষেত্রে নামাজ কাজা হয়েছে আর পরে আদায় না করে ছেড়ে দিয়েছেন। নামাজ কাজা হলে আদায় করতে হবে এটাই বিশুদ্ধ মত । আল্লাহু আ’লম
আমার বয়স ১০ থাকা অবস্থায় নিয়মিত নামাজ পড়তাম না। তবে বালেগ হওয়ার আগে ১২ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত আদায় করি। আমাকে কি ১০-১২ এই বয়সের দুই বছরের নামাজ কাজা আদায় করতে হবে?