কম কথা বললে কোন উপকার হয় কি?
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যে কথা বলবে বেশি, তার ভুল হবে বেশি । আর যার ভুল হবে বেশি তার গুনাহ হবে বেশি । আর যার গুনাহ হবে বেশি সে জাহান্নামের হকদার হবে বেশি । (মাজমাউজ জাওয়াইদ হাঃ নং ১৮১৭২)
আমিরুল মুমিনিন হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) মুখের মধ্যে একটি ছোট পাথরের টুকরা ভরে রাখতেন যাতে করে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারেন । (আল-মুজামুল আওসাদ হাঃ নং ৬৫৪১)
হযরত মালিক বিন দিনার (রহঃ) বলেছেন যদি তোমার অন্তর কঠোর হয়ে যায়, তোমার মধ্যে অলসতা বৃদ্ধি পায়, তুমি রিজিক থেকে বঞ্চিত হও তাহলে অবশ্যই তুমি অপ্রয়োজনীয় বেশি কথা বলেছ । (বাহরুদ-দুমু’ ইমাম জাওযি রহঃ)
হযরত লুকমান হাকিম (আঃ) নিজের পুত্রকে ওসিয়ত করেছিলেন, হে আমার পুত্র যে দয়া করবে সে দয়া পাবে । যে চুপ থাকবে সে নিরাপদে থাকবে । যে ভালো কাজ করবে সে সম্পদ লাভ করবে । যে খারাপ কাজ করবে সে গুনাগার হবে । যে নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণে রাখবে না সে সমস্যার সম্মুখীন হবে । (বাহরুদ-দুমু’ ইমাম জাওযি রহঃ)
যেখানে কথা বলার প্রয়োজন শুধুমাত্র সেখানে কথা বলা উচিত। অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত কথা বলা মানে নিজের জীবনে সমস্যা ডেকে আনা ।
কম কথা বলার ফজিলত
- অন্তর কমল হয় ।
- রিজিকে বরকত হয় ।
- অলসতা গ্রাস করতে পারে না । (কথা কম কাজ বেশি করলে মানুষের জীবনে অলসতা দুরি ভূত হয়ে সফলতা আসে)
- নিরাপদে থাকা যায় ।
- জীবনের চলার পথে সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা যায় । ইত্যাদি অনেক ফজিলত রয়েছে ।
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কথা না বলে কম কথা বলা অনেক বেশি উত্তম ।