মহরম উপলক্ষে মাতম করার বিধান কি?

মহরম উপলক্ষে মাতম করার বিধান কি?

প্রশ্নঃ– আসসালামু আলাইকুম,আমি একটি বিষয়ে জানতে চাই তা হল মহরম উপলক্ষে মাতম করা কি ঠিক দয়া করে জানাবেন ।

উত্তরঃ- হযরত হাসান ও হোসাইন (রাঃ) ভালবাসতে হবে । তাদেরকে ভালোবাসা মানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা হয় । এমনকি পবিত্র কোরআনে আহলে বাইতগনের মর্যাদার কথা উল্লেখ আছে এবং তাদেরকে ভালোবাসতে বলা হয়েছে । তারা যেমন ভাবে জীবন যাপন করেছেন কেমন ভাবে জীবন যাপন করা (করতে) চেষ্টা করার নামই ভালোবাসা । মাতম করা দ্বারা হোসাইন (রাঃ) কে ভালোবাসা হয় না বরং কষ্ট দেওয়া হয় ।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, সে ব্যক্তি আমাদের দলের লোক নয়, যে (মৃতের শোকে) নিজ মুখমন্ডলে হাত দ্বারা আঘাত করে, জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং অন্ধকার যুগের লোকদের মত হা-হুতাশ করে। (মুসনাদে আহমাদ৩৬৫৮, সহীহ বুখারী ১২৯৭, ১২৩৫, সহীহ মুসলিম-১৬৫, ১০৩)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ “দুটি বিষয় এমন যা মানুষের মধ্যে কুফরী বলে গণ্য হয়, বংশধারা কে কলংকিত করা ও মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশার্থে উচ্চ শব্দে কান্নাকাটি করা। (মুসনাদে আহমদ ১০৪৩৪, সহীহ মুসলিম ১২১, ৬৭)

বর্তমানে যারা ইমাম হুসাইন (রাঃ) শাহাদাত দিবসে কোরান হাদীস ভিত্তিক আমল ছেড়ে এভাবে মাতম করে তারাই রাসূল (ﷺ) র দলভূক্ত নয়।

আশুরার রাতে বা দিনে করণীয়

১- রোজা রাখা।
২-বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া ।
৩- কোরআন তেলাওয়াত করা ।
৪- শোহাদায়ে কারবালার জন্য ঈসালে সওয়াব করা ।৫- বেশি বেশি দান করা । ইত্যাদি

আশুরার রাতে বা দিনে বর্জনীয়

১. তা’যিয়া বানানো ।
২. ‘হায় হুসেন’, ‘হায় আলী’ ইত্যাদি বলে বলে বিলাপ ও মাতম করা এবং ছুরি মেরে নিজের বুক ও পিঠ থেকে রক্ত বের করা।

৩-ঢাক-ঢোল ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো।
৪- গান বাজনা করা
৫- পটকা ফাটানো -ইত্যাদি

Spread the love

Leave a Comment