যিলহজ্ব মাসের চাঁদ উঠার পর চুল ও নখ কাটা যাবে কি?

যিলহজ্ব মাসের চাঁদ উঠার পর চুল ও নখ কাটা যাবে কি?

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন- إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارهِ (যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেনো তাঁর চুল নখ না কাটে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫২৩)

(অন্য বর্ণনা মতে) এবং শরীরের চামড়াও না । (শরীরের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় চামড়া কাটার প্রয়োজন হলেও কাটা যাবে না )

তাহলে জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হলে কোরবানি না হওয়া পর্যন্ত যে তিনটি কাজ করা যাবে না তাহলে ।

(১) চুল কাটা যাবে না ।
(২) নখ কাটা যাবে না ।
(৩) শরীরের অপ্রয়োজনীয় চামড়া কাটা যাবে না ।

যারা কুরবানী করবে অর্থাৎ যাদের নামে কুরবানী হবে তাদের জন্য এই আদেশ । কিন্তু যাদের নামে কুরবানী থাকবে না তারা চাইলে নখ ও চুল ওর শরীরের অপ্রয়োজনীয় চামড়া কাটতে পারে, এতে কোন গুনাহ হবে না, তবে এই মাসের সম্মানার্থে না কাটাই উত্তম হবে ।

যারা কুরবানী করবে তাদের জন্য চুল, নখ, শরীরের অপ্রয়োজনীয় চামড়া না কাটার আদেশ রয়েছে ।

এ তিনটি ছাড়া শরীরের অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় চুল কাটার প্রয়োজন হলে কাটতে পারবে ।

অতএব যিলহজ্ব আগমনের পূর্বেই নখ-চুল কেটে ছেটে পরিপাটি হয়ে থাকা বাঞ্ছনীয়।যারা কুরবানী করবেন তাঁরা এ আমলের প্রতি তো যত্নবান হবেনই। আর বিভিন্ন বর্ণনা ও সাহাবা-তাবেয়ীনের আমলের নিরিখে এ-ও বুঝে আসে যে, যারা কুরবানী করবেন না তারাও এ ফযীলতপূর্ণ আমলে শরীক হতে পারেন। এমনকি এসময় বাচ্চাদের চুল-নখ কাটা থেকে বিরত থাকাও ভালো; যা সাহাবা-তাবেয়ীনের আমল থেকে বোঝা যায়।

শেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা তা হল , অনেককে বলতে শোনা যায় এই মাসে মাংস খাওয়া জায়েজ নাই এটা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন কথা, কেউ চাইলে বা প্রয়োজন হলে মাংস খেতে পারে শরীয়তে এর নিষেধাজ্ঞা নেই ।

Spread the love

Leave a Comment