যে সূরা পাঠ করলে কবরের আজাব হতে রক্ষা পাওয়া যায়-সূরা মুলক এর ফজিলত

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করব এমন দুটি সূরা নিয়ে যে সুরা 2টি পাঠ করলে কবরের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তো চলুন হাদিস দ্বারা বিস্তারিত জেনে নেয় ।

ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ-তিনি বলেনঃ কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সাহাবী একটি ক্ববরের উপর তার তাঁবু খাটান। তিনি জানতেন না যে, তা একটি কবর। তিনি হঠাৎ বুঝতে পারেন যে, ক্ববরে একটি লোক সূরা আল-মুলক পাঠ করছে। সে তা পাঠ করে সমাপ্ত করলো। তারপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি একটি ক্ববরের উপর তাঁবু খাটাই। আমি জানতাম না যে, তা ক্ববর। হঠাৎ বুঝতে পারি যে, একটি লোক সূরা আল-মুলক পাঠ করছে এবং তা সমাপ্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ সূরাটি প্রতিরোধকারী নাজাত দানকারী। এটা কবরের আযাব হতে তিলাওয়াতকারীকে নাজাত দান করে। তিরমিজী ২৮৯০

হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ” কোরআন শরীফে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, যা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে না দেয়া পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতে-ই থাকবে। সে সূরাটি হলো- تبارك الذي بيده الملك.– ‪তাবারাকাল্লাযী‬ বি ইয়াদিহিল মূলক (অর্থাৎ‪ সূরা‬ মূলক)  (আবু দাউদ-১৪০২, তিরমিজি-২৮৯১)

অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-“আমার মন চায় প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে যেনো সূরা আল-মূলক  থাকে। “(মুখস্ত থাকে)  (বায়হাকীর শুআবুল ইমান-২৫০৭)

আরেকটি এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে এ সূরা তেলাওয়াতকারীর আমলনামায় অন্য সূরার ‪‎তুলনায়_৭০‬ টি নেকী বেশি লিখা হবে এবং ‪ ৭০টি‬ গোনাহ মুছে ফেলা হবে। (তিরমিজি-২৮৯২)

আর যে মানুষ নিয়মিত সুরা আল-মূলকের আমল করবে সে ‪ কবরের‬ আজাব থেকে মুক্তি লাভ করবে। (তিরমিজি-২৮৯০)

এছাড়া হাদীসে আরো আছে যে, রাসূল (সাঃ) কোনো রাতে সুরা আল-মূলক না পড়ে ঘুমাতেন না। (তিরমিজি-২৮৯২)

হযরত খালিদ ইবনে মাদান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সুরা মুলক অর্থাৎ তাবারাকাল্লাযি এই সূরাটি ও সূরা হা মীম সিজদা সম্পর্কে বলতেন যে,এই সূরা দুটি পাঠ কারীর জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করে এবং তারা  বলে আল্লাহ গো আমি যদি তোমার কিতাব এর অন্তর্ভুক্ত হয় তবে এর জন্য আমার সুপারিশ কবুল করো আর যদি তোমার গ্রন্থের মধ্যে গণ্য না হয় তবে আমাকে তোমার গ্রন্থ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দাও তিনি আরো বলেন যে এই সূরা দুটি নিজ নিজ পাঠকের উপর পাখির ন্যায় পক্ষ বা ডানা বিস্তার করে তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে (মিশকাত)

তাই এই সুরা দুটি যে আমলে পরিনত করতে পারবে অর্থাৎ নিয়মিত পাঠ করার অভ্যাস করবে ।আল্লাহর রহমতে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করবে । বিভিন্ন কাজ কর্মের জন্য প্রতিদিন পাঠ করা হয়তো অনেকের সম্ভব হবে না সেই ক্ষেত্রে অসুবিধা নেই, সুবিধামতো মাঝে মাঝে পাঠ করে আমলে পরিনত করতে পারলেও হবে ।
আল্লাহু ওয়ারাসুলূহু’ আলাম

তো প্রিয় পাঠক আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে বেশি বেশি শেয়ার করে সবে দ্বারা ইন হাসিল করুন আল্লাহ যেন আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন আমিন আমিন চুম্মা আমিন

Spread the love

Leave a Comment