অবৈধ প্রেম ও আত্মহত্যা থেকে মুক্তির দো‘আ

অবৈধ প্রেম ও আত্মহত্যা থেকে মুক্তির দো‘আ

بِسْمِ الله الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ ـ لآَ اِلهَ اِلاَّ اَنْتَ سُبْحَانَكَ ـ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّلِمِيْنَ ـ اَللهُ نُوْرُ السَّمَواتِ وَالْاَرْضِ ـ لاَ تَاْخُذُه سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ

উচ্চারণঃ  বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম। লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুন্তু মিনায যোয়ালিমী-ন। আল্লাহু নুরুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আর্দ্ব। লা-তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম।

অনুবাদঃ আল্লাহর নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়। কোন উপাস্য নেই তুমি ব্যতীতঃ পবিত্রতা তোমারই নিশ্চয় আমার দ্বারা অশোভন কাজ সম্পাদিত হয়েছে। আল্লাহ্-আসমান ও যমীনের নূর। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা।

ফযীলতঃ

ওযূ সহকারে এ দো‘আটি ৩ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে পান করবেন। এ আমল ৪০ দিন পর্যন্ত করবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্যই আদায় করবেন। [খুশ্ খুশী কা ই’লাজ]

বিবাহের পূর্বে সাক্ষাৎ, চিঠি প্রেরণ, পরস্পর কথোপকথন, মোবাইলে আলাপ, এস.এম.এস. প্রেরণ ইত্যাদি শরীয়াত বিরোধী ও গুনাহর কাজ। এসব কিছু অবৈধ প্রেমের কারণে সংঘটিত হয়।(এসব বন্ধ করে দিয়ে অপর পক্ষের চিন্তা-কল্পনা ধৈর্যের সাথে ত্যাগ করলে এবং তার দেয়া উপহার ইত্যাদি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে নিজেকে আপন প্রয়োজনীয় কাজ কর্মে ব্যস্ত করে নিতে সক্ষম হলে্ এ মন্দ কাজ থেকে মুক্তি মিলবে ইনশা-আল্লাহ্।

মনে রাখবেন! আপন প্রিয় মানুষগুলোর ইন্তিক্বালের পর মানুষ ধীরে ধীরে তাদেরকেও ভুলে যায় এবং প্রথম দিকের সে শোকাবস্থা তাদের অনুপস্থিতির কারনে মন থেকে বিলীন হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর প্রেম-ভালবাসা ছাড়া যুবক-যুবতীর মধ্যে বিয়ের আগে প্রেমের নামে গড়ে উঠা সম্পর্ক হারাম। কাউকে কারো পছন্দ হলে বিয়ে করে নেয়াতে উভয় জগতের নিরাপত্তা নিহিত।) [প্রাগুক্ত]

অনেকে অবৈধ প্রেমে পরাজিত হয়ে আত্মহত্যার মতো গর্হিত কাজে জড়িয়ে পড়ে। অথচ এর মাধ্যমে দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি মিলেনা বরং তাতে চিরস্থায়ীভাবে ফেঁসে যায়।

হাদীসে পাকে রয়েছে, যে ব্যক্তি যে বস্তু দ্বারা আত্মহত্যা করবে, তাকে জাহান্নামের আগুনে সে বস্তু দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে। [বোখারী শরীফ, খন্ড-৪, পৃ.-২৮৯]

অর্থাৎ যে যেভাবে বা যে বস্তু দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে প্রতিনিয়ত সেটার শাস্তির যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকবে, যতদিন আল্লাহ্ তা‘আলা ওই মুসলমানকে ক্ষমা না করবেন।

স্মরণ রাখবেন! জাহান্নামের শাস্তি এমন কঠোর ও ভয়ানক যে, তা কিছুদিন তো দূরের কথা এক মুহূর্তও সহ্য করার ক্ষমতা কারোর নেই। আত্মহত্যার অন্যতম কারণ টেনশন কিংবা হতাশা, যার কারণে মানুষের মস্তিস্ক বিকল হয়ে পড়ে আর সেভাবে যে, মুক্তির পথ হলো আত্মহত্যা। তাই টেনশন থেকে মুক্ত থাকার জন্য ‘‘লা-হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হ’’ বেশি পরিমাণে পাঠ করবেন। নিয়মিত নামায পড়বেন। নামাযের জন্য ওযূ করতে হয় আর ওযূর কারণে হতাশা থেকে মুক্তি লাভ হয়।

Spread the love

Leave a Comment