ইমাম আবু হানিফা (রঃ) উপর আহলে হাদিসের মিথ্যা অপবাদের জবাব ।

প্রিয় পাঠক সমাজে কিছু কথিত আহলে হাদীস আছে যারা হানাফী মাযহাব সম্পর্কে মন গড়া মিথ্যা প্রচার করে চলেছে । মিথ্যা কথাগুলো কে তারা এমনভাবে উপস্থাপন করে,যা শুনে সাধারণ মানুষ মনে করেন হয়তো সে সত্যি বলছে । এর জন্য বহু হানাফী ঘরের ছেলে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে । একজন আহলে হাদিসের মাওলানা ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর উপর অপবাদ দিয়ে বলছেন “কুরআনে আছে বাচ্চা মায়ের দুধ দুই বছর পর্যন্ত খেতে পারে। কিন্তু ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন,আড়াই বছর।”
প্রিয় পাঠক পবিত্র কোরআন থেকে এই মিথ্যা অপবাদের উত্তর দেব । উত্তরটি পড়ার পর স্পষ্ট ভাবে বুঝে যাবেন যে, তারা কত বড় ধোকাবাজ ।

পবিত্র কুরআনের যে আয়াতটি ঢাল বানিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন সে আয়াতটি হলো,” আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দু বছরে। (সূরা লোকমান ১৪) (দুই বছর বয়স হলে সন্তানের দুধ ছাড়াতে হবে এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত) কিন্তু ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) আড়াই বছর দুধ পান করানোর কথা বলেছেন এটা সম্পূর্ণরূপে কোরআন বিরোধী কথা ।

এবার ভাবুন একজন সাধারন মানুষ যদি এই কথাটা শুনে তাহলে সে কি সত্য মনে করবে না? অবশ্যই সত্য বলে মনে করবে। কারণ কোরআনের আয়াত তার সামনে তুলে ধরা হয়েছে,আর পবিত্র কুরআনকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না ।

আসুন সঠিকভাবে পবিত্র কোরআন থেকে সঠিক তথ্যটি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ” তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।
(সূরা আল আহক্বাফ-১৫)

পবিত্র কোরানের এই আয়াতটির মধ্যে দুধ ছাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ৩০ মাস ।
(৩০ মাস আড়াই বছর হয় )।

পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতে দুই বছর দুধ পান করানোর কথা উল্লেখ আছে আরেকটি আয়াতে ৩০ মাস (আড়াই বছর) এর কথা উল্লেখ আছে । এর অর্থ হলো একটি শিশুকে কম করে দুই বছর দুধ পান করাতেই হবে আর বেশি বেশি আড়াই বছর (পর্যন্ত দুধ পান করাতে পারবে) । দুই বছর দুধ পান করানো পূর্ণ হলে দুধ ছাড়ানোর চেষ্টা করবে এবং আড়াই বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই শিশুকে দুধ পান করানো থেকে বিরত রাখবে । আড়াই বছর এর বেশি শিশুকে দুধ পান করাবে না ।

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর উপর আনা মিথ্যা অপবাদের জবাব পবিত্র কোরআন থেকে স্পষ্ট ভাবে দেওয়া হল । আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ।

উত্তর লিখেছেন
আব্দুল আজিজ কাদেরী

নামাজে বাজে চিন্তা আসে কেন? | নামাজের মধ্যে খারাপ চিন্তা আসলে করণীয় কি জানতে এখানে ক্লিক করুন ?

Spread the love

Leave a Comment