কিস্তিতে গাড়ি বা বাড়ি ক্রয় করা কি জায়েজ?

আস্সালামু আলাইকুম
কিস্তিতে গাড়ি ক্ষয় করা যাবে কি?❓

🌹ওয়াআলাইকুম আসসালাম,,🌹

বর্তমান বাজারে কিরকম চলছে আমার জানা নেই।

ইসলামের দৃষ্টিতে কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ এবং কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের কারণে নগদ মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া সর্বসম্মতোভাবে বৈধ। এটি সুদ নয়।

এ ব্যাপারে চার মাজহাবের ইমাম সহ অধিকাংশ আলেমগণ একমত। কারণ এখানে দুটি ভিন্ন ভিন্ন জিনিসের মধ্যে কমবেশি হচ্ছে (টাকার বিনিময়ে গাড়ি)।

তবে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সুদ তখন হবে যখন এক জাতীয় দুটি জিনিস লেনদেনের ক্ষেত্রে কম-বেশী করা হয়-চাই নগদে হোক অথবা বাকিতে হোক। যেমন: ১০ কেজি গমের পরিবর্তে ১১ কেজি গম নেওয়া, ১০০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকা নেওয়া ইত্যাদি। এ মর্মে হাদিস:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: ‏ “‏ التَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ فَقَدْ أَرْبَى إِلاَّ مَا اخْتَلَفَتْ أَلْوَانُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব ও লবণের বিনিময়ে লবণ সমো পরিমাণ ও হাতে হাতে হতে হবে। কেউ যদি বেশি দেয় বা বেশি নেয় তবে সুদ হবে। তবে যদি এর শ্রেণী পরিবর্তন হয় (যেমন, খেজুরের বিনিময়ে গম, গমের বিনিময়ে লবন….ইত্যাদি) তবে কমবেশি করাতে কোনো অসুবিধা নেই।” [সহিহ মুসলিম, অধ্যায়: স্বর্ণের বদলে রৌপ্য ও রৌপ্যের বদলে স্বর্ণ নগদ বেচাকেনা, হা/৩৯৫৮)]

সুতরাং কিস্তিতে পণ্যের মূল্য পরিশোধের কারণে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ সুদের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটিও ব্যাবসার একটি পদ্ধতি।

Spread the love

Leave a Comment