বিশ্ববিখ্যাত ১০জন মুসলিম বিজ্ঞানী

বিশ্ববিখ্যাত ১০জন মুসলিম বিজ্ঞানী

মুসলিমরাই সর্বপ্রথম পৃথীবিকে আধুনিক সভ্য করেছে । মুসলমানদের সেই সোনালী দিনগুলো আজ কোথায়? । কুরআন ও হাদিসে অগণিত বিজ্ঞান সম্মত তথ্য রয়েছে । বর্তমানে অমুসলিমরা গবেষনা করে করে নতুন নতুন তথ্য বের করছে । আর মুসলিমরা যাতে এগিয়ে না যায় সেই জন্য বিভিন্য পরিকল্পনা করে মুসলিমদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে ।

তারা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্ক লাগিয়ে রেখেছে । বর্তমানে অসংখ্য ইহুদিদের এজেন্ট মুসলমান সেজে বিতর্কিত ফতয়া দিয়ে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিচ্ছে । সালাহুদ্দিন আয়ুবী (রহঃ) এর জীবনী পড়লে এই বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন ।

আসুন আজ কিছু মুসলিম বিজ্ঞানীর কথা আপনাদের বলি,যাদের হার মানাতে পারেনি কোনো অমুসলিম বিজ্ঞানী । লেখাটি পড়তে পড়তে চিন্তা করবেন কেন মুসলিমরা আজ পিছিয়ে…পারলে কমেন্ট এ মতামত জানাবেন ।

মুসলিম সভ্যতার ক্রমবিকাশে মুসলিম মনীষীদের অবদান অবিস্মরণীয়। যুগ যুগ ধরে গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজে তাঁদের একাগ্রতা প্রমাণিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা সভ্যতার বিকাশকে করেছে আরও গতিশীল। রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা, জ্যোতির্র্বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস সর্বত্র ছিল তাঁদের অগ্রণী পদচারণা।

বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। সেসব আবিষ্কার ও গবেষণার আধুনিকীকরণ ঘটেছে, তার সুফল ভোগ করছে আজকের বিশ্ববাসী।

পিপড়া কাঁচের তৈরি । যা দেখে এক অধ্যাপকের ইসলাম গ্রহণ-পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা তথ্য

দুনিয়া কাঁপানো মুসলিম আবিষ্কারকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন-

(১) জাবির ইবনে হাইয়ানঃ

মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান আল-আজদি আস সুফি আল-ওমাবি। আরবের দক্ষিণাংশের বাসিন্দা আজদি গোত্রের হাইয়ান ছিলেন তাঁর পিতা।

চিকিৎসক পিতার সন্তান হলেও সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে উমাইয়া খলিফা তাঁর পিতাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করলে বাল্যকালে তিনি চরম দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হন।

শৈশবে কুফায় বসবাস করলেও পিতার মৃত্যুর পর তিনি দক্ষিণ আরবে স্বগোত্রে ফিরে আসেন। কুফায় বসবাসের সময় তিনি রসায়ন শাস্ত্র গবেষণায় বিশেষ মনোযোগী হন। ওই পরিপ্রেক্ষিতে কুফায় একটি রসায়ন গবেষণাগারও প্রতিষ্ঠা করেন।

মুসলিম ঐতিহাসিকরা ওই গবেষণাগারকে পৃথিবীর প্রথম রসায়নাগার বলে অভিহিত করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রসায়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়াগুলো চর্চা করার উপায় উদ্ভাবন করেন।

রসায়ন শাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি চিকিৎসা, খনিজ পদার্থ বিশেষত পাথর, দর্শন, যুদ্ধবিদ্যা, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে অবদান রাখেন। তিনি প্রায় ২ হাজার বই রচনা করেন। এর মধ্যে চিকিৎসা বিষয়ে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৫০০।

(২) ইবনে সিনাঃ

৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বোখারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও দার্শনিক আবু আলি সিনা। বোখারা শহরটি সে সময় ছিল ইরানের অন্তর্ভুক্ত।

ইবনে সিনা তাঁর দর্শন চর্চা করেছেন, বিজ্ঞান চর্চা করেছেন, জোতির্বিজ্ঞান থেকে শুরু করে যুক্তিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, অঙ্ক ইত্যাদি সব জ্ঞান চর্চা করেছেন।

তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে সমকালীন জ্ঞানী-গুণী, চিকিৎসক এবং মনীষীদের পড়িয়েছেন। ফলে সহজেই বোঝা যায় তিনি ছিলেন সে সময়কার সবচেয়ে বড় চিকিৎসক।

কথিত আছে, ইবনে সিনা যখন ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তেন তখন অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো তাঁর মানসপটে স্বপ্নের মতো ভাসত। তাঁর জ্ঞানের দরজা খুলে যেত। ঘুম থেকে উঠে তিনি সমস্যার সমাধান করে ফেলতেন! একজন বিখ্যাত চিকিৎসক হিসেবে সর্বত্র তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।

মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি আল মুজমুয়া নামে একটি বিশ্বকোষ রচনা করেন। এর মধ্যে গণিত ছাড়া সব বিষয় লিপিবদ্ধ করেন।

ইবনে সিনা পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জ্যামিতি, গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ে পৃথিবীর সেরা চিকিৎসক।

(৩) আল বিরুনিঃ

পারস্যের মুসলিম মনীষী আবু রায়হান আল বিরুনি। তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন মধ্য এশিয়ায়। ২০ বছর বয়সে তিনি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু করেন।

তিন বছর ধরে তিনি গোটা পারস্য চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন পন্ডিতের অধীনে পড়ালেখা করে নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি জুরজানে (বর্তমানে ‘গুরগান’, উত্তর ইরানের একটি শহর) স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

জীবনের পরবর্তী ১০ বছর তিনি উত্তর ইরানের এই ছোট্ট শহরেই বসবাস করেন। নিজের গবেষণা চালিয়ে যান, বই লিখেন এবং জ্ঞানার্জনে রত থাকেন। আল-বিরুনি ভূবিদ্যার একজন পথিকৃৎ।

তিনি শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ধাতু এবং রতœপাথর সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা করেন। একাদশ শতাব্দীতে আল বিরুনি তাঁর বর্ণময় কর্ম এবং বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণায় নতুন ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেন।

তিনি আবিষ্কার করেন কীভাবে পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। স্থিতিবিদ্যা এবং গতিবিদ্যাকে একীভূত করে বলবিদ্যা নামক গবেষণার নতুন ক্ষেত্রের প্রবর্তন করেন।

(৪)ওমর খৈয়ামঃ

অনেক ইতিহাসবিদের মতে, সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছু সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বলখ শহরে।

সেখানে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফেফক নিশাপুরীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দিনে জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক-শাহর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন সবটাতে তাঁর নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না।

জীবদ্দশায় ওমরের খ্যাতি ছিল গণিতবিদ হিসেবে। তিনি প্রথম উপবৃত্ত ও বৃত্তের ছেদকের সাহায্যে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান করেন। ওমরের আর একটি বড় অবদান হলো ইউক্লিডের সমান্তরাল স্বীকার্যের সমালোচনা যা পরবর্তী সময়ে অ-ইউক্লিডীয় জ্যামিতির সূচনা করে।

১০৭০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুস্তক মাকালাত ফি আল জার্ব আল মুকাবিলা প্রকাশিত হয়। এই পুস্তকে তিনি ঘাত হিসেবে সমীকরণের শ্রেণিকরণ করেন এবং দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধানের নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ করেন। ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ হিসেবেও সমধিক পরিচিত ছিলেন।

(৫) আল বাত্তানিঃ

৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত বাত্তান নামক স্থানে আল বাত্তানি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অঙ্কশাস্ত্রবিদ এবং একজন জ্যোতির্বিদ। তিনিই সর্বপ্রথম নির্ভুল পরিমাপ করে দেখিয়েছিলেন যে, এক সৌর বছর ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে হয়।

তিনি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, সূর্যের আপাত ব্যাসার্ধ বাড়ে ও কমে। সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্বন্ধেও তাঁর বক্তব্য ছিল সুস্পষ্ট।

আল বাত্তানি তাঁর নিজস্ব উদ্ভাবিত যন্ত্র দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন যে, সূর্য তার নিজস্ব কক্ষপথে গতিশীল। এই মহান মনীষী ৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ৭২ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।

আল বাত্তানি ছিলেন একজন মশহুর জ্যোতির্বিদ এবং গণিতজ্ঞ। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার জন্য নিজস্ব মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বহু বছর ধরে জ্যোতির্বিদ্যায় প্রচলিত ভুলগুলো সংশোধন করে এই শাখার অনেক সংস্কার ও উন্নতিসাধন করেন।

পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাঁকে উল্লেখ করেছেন ‘আল বাতেজনিয়াজ’, ‘আল বাতেজনি’, ‘আল বাতেনিয়াজ’ ইত্যাদি নামে। তাই তাঁর পরিচয় অনেকটাই ইতিহাসে হারিয়ে যেতে বসেছে।

(৬)আল ফারাবিঃ

মুসলিম বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আল ফারাবির আসল নাম আবু নাসের মোহাম্মদ ইবনে ফারাখ আল ফারাবি। আল ফারাবির পিতা ছিলেন উচ্চশিক্ষিত এবং সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

তাঁর পূর্বপুরুষরা ছিলেন পারস্যের অধিবাসী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও রাজনৈতিক কারণে তাঁর পূর্বপুরুষরা পারস্য ত্যাগ করে তুর্কিস্তানে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফারাবায়। সেখানে কয়েক বছর শিক্ষালাভের পর অধিকতর শিক্ষার উদ্দেশ্যে চলে যান বোখারায়।

এরপর উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য তিনি গমন করেন বাগদাদে। সেখানে তিনি সুদীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর অধ্যয়ন ও গবেষণা করেন। জ্ঞানের অন্বেষণে তিনি ছুটে গেছেন দামেস্ক, মিসর এবং দেশ-বিদেশের আরও বহু স্থানে।

পদার্থবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতিতে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে বিজ্ঞান ও দর্শনে তাঁর অবদান ছিল সর্বাধিক।

পদার্থবিজ্ঞানে তিনিই ‘শূন্যতার’ অবস্থান প্রমাণ করেছিলেন। দার্শনিক হিসেবে ছিলেন নিয় প্লেটনিস্টদের পর্যায়ে বিবেচিত।

(৭) মুসা আল খাওয়ারিজমঃ

তাঁর পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমি। সোভিয়েত রাশিয়ার আরব সাগরে পতিত আমু দরিয়ার কাছে একটি দ্বীপে আনুমানিক ৭৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি পাটিগণিত, বীজগণিত, ভূগোল, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যামিতিতে প্রভূত ভূমিকা রাখেন। তবে মূলত বীজগণিতের জন্যই তিনি সবচেয়ে আলোচিত হন। তাঁর ‘আল জিবর ওয়াল মুকাবিলা’ বই থেকে জানা যায়, তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম।

খলিফা মামুনের বিশাল লাইব্রেরিতে আল খাওয়ারিজমি চাকরি গ্রহণ করেন। এখানেই সম্ভবত তিনি বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। অসীম ধৈর্যসহকারে অধ্যয়ন করে তিনি বিজ্ঞানের যাবতীয় বিষয়ের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করেন।

তিনি ছিলেন একজন জগদ্বিখ্যাত গণিতবিদ। তাঁর সময়ের গণিতের জ্ঞানকে তিনি এক অভাবনীয় সমৃদ্ধতর পর্যায়ে নিয়ে যান।

গণিতবিদ হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন উল্লেখযোগ্য জ্যোতির্বিদ। ভূগোল বিষয়ে তাঁর প্রজ্ঞা উৎকর্ষতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন বীজগণিত তথা অ্যালজেবরার জনক। তিনি প্রথম তাঁর একটি বইয়ে অ্যালজেবরার নাম উল্লেখ করেন। বইটির নাম হলো ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবিলা’।

তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক বহু গ্রিক ও ভারতীয় গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করেন। পাটিগণিত বিষয়ে তিনি একটি বই রচনা করেন, যা পরে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়। তাঁর হাতেই বীজগণিত পরবর্তী সময়ে আরও সমৃদ্ধতর হয়।

বর্তমান যুগ পর্যন্ত গণিত বিদ্যায় যে উন্নয়ন এবং এর সহায়তায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যে উন্নতি ও আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে তার মূলে রয়েছে আল খাওয়ারিজমির উদ্ভাবিত গণিত বিষয়ক নীতিমালারই বেশি অবদান।

তাঁর রচিত বই ‘কিতাব আল জিবর ওয়াল মুকাবিলা’ থেকে বীজগণিতের ইংরেজি নাম অ্যালজেবরা উৎপত্তি লাভ করে।

(৮) আল কিন্দিঃ

আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি ছিলেন কোরআন শরিফ, হাদিস শরিফ, ফিকাহশাস্ত্র, ইতিহাস, দর্শন, ভাষাতত্ত্ব, রাজনীতি, গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ে বিশারদ।

তিনি ছিলেন গ্রিক, হিব্র“, ইরানি, সিরিয়াক এমনকি আরবি ভাষাতেও ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন। তিনি নানা বিষয়ে ২৬৫ খানা গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর বইগুলো এখনো বহুল পঠিত।

(৯) আল বলখিঃ

মুসলিম জোতির্বিদদের অগ্রগতি ছিল প্রশ্নাতীত। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই মুসলিম জোতির্বিদদের সাফল্যের খোঁজ মিলেছিল। তাঁদেরই একজন জাফর ইবনে মুহম্মদ আবু মাশার আল বলখি।

তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত পার্সিয়ান জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক, গণিতবিদ। তিনি আল ফালাকি, আবুল মাসার, ইবনে বলখি নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাজ এখনো প্রশংসনীয়।

(১০) ইবনে হাইছামঃ

প্রখ্যাত পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, চিকিৎসাবিদ, দার্শনিক, মনোবিজ্ঞানী আবু আলী আল হাছান ইবনে আল হাছান আল ইবনে হাইছাম। তিনি বসরায় জন্মগ্রহণ করায় আল বসরি নামেও পরিচিত।

আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন ‘কিতাবুল মানাজির’-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন।

এ ছাড়া তাঁর ‘মিযান আল-হিকমাহ’ এবং ‘মাক্বাল ফি দ্য আল-ক্বামার’ গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।

এছাড়া অসংখ্য বিজ্ঞানী আছে । উদাহরণ সরূপ ১০জন বিজ্ঞানীর কথা উল্লেখ করা হল ।

আজ মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে তাই সব যায়গাতে অপমানিত । ইসলামের সঠিক পথ থেকে সরে যাওয়ার জন্য এই অবস্থা । তাই নামধারি ভন্ড শাইখদের বর্জন করে পুর্বর ইসলামী স্কলারদের অনুসরন করতে হবে ।তারা যে ভাবে কুরআন ও হাদিস বুঝেছেন আার বুঝিয়েছেন আমাদেরকে তেমন বুঝতে হবে ।

নতুন নতুন ফতওয়া দিয়ে যারা ফিতনা ছড়াচ্ছে তাদের বর্জন করতে হবে । তবে যারা বর্তমানে সঠিক পথের অনুসারী তাদের অনুসরন করতে হবে । আর আহলে-সুন্নাত-ওয়াল জামাতের অনুসরন করতে হবে ।

ধর্মীয় বিতর্ক এড়িয়ে কুরআন হাদিস গবেষনা করতে হবে । তাহলে মুসলিম সমাজ পূর্বের অবস্থানে ফিরতে পারবে ইনশা-আল্লাহ

সাব্বির আহমেদ

শব্দ সংযোজন- আঃ আজিজ

এবার এটি পড়ুন-মৌমাছি ও মধু সম্পর্কে কোরআন vs বিজ্ঞান

Spread the love

Leave a Comment