ব্যাবসায়ী পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কতোটুকু লাভ করলে তা বৈধ হবে

প্রশ্ন: একজন ব্যাবসায়ী পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কতোটুকু লাভ করলে তা বৈধ হবে??

উত্তর: ব্যাবসায়ী পণ্য বিক্রয়ে কতোটুকু বা কতো পার্সেন্ট লাভ করলে তা তার জন্য বৈধ হবে এ ব্যাপারে ইসলামি শরীয়ত কোনো সংখ্যা, পরিমাণ বা পার্সেন্টেজ নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি কুরআনে বর্ণিতো হয়েছে।

☝️আল্লাহ তা’আলা বলেন,☝️

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ.

মুমিনগণ, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তোমাদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ কর না, তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যাবসার মাধ্যমে হলে তা বৈধ। (সূরা: নিসা, আয়াত নং ২৯)

সুতরাং এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, পরস্পরের মধ্যে অন্যায় পন্থায় একে অপরের সম্পদ ভক্ষণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তা বৈধ অর্থাৎ বিক্রেতা যদি লাভের উদ্দেশ্যে যদি কোনো মূল্য নির্ধারণ করে দেয় এবং ক্রেতা যদি তাতে সম্মতো হয় তাহলে সেই বিক্রেতার জন্য সে লভ্যাংশ ভক্ষণ করা জায়েজ আছে। সেটা অন্যায়ভাবে সম্পদ ভক্ষণের আওতায় পড়বে না।

তবে এখানে তিনটি শর্তে একজন ব্যাবসায়ীর জন্য উল্লেখিতো লভ্যাংশ ভোগ করা বৈধ হবে–

✅১. ধোঁকা বা প্রতারণা থাকতে পারবে না। যেমন: পণ্য মজুদ করে দাম বাড়ানো, বিক্রেতা হয়তো বুঝতে পেরেছে ক্রেতা দাম অথবা পণ্য সম্পর্কে অজ্ঞ, তাই এই সুযোগ অধিক মূল্য রাখা অথবা যেকোনো প্রকার ধোঁকার আশ্রয় নিলে তা বৈধ হবে না।

✅২. মিথ্যার কসম খেতে পারবে না। যেমন: কোনো ব্যাবসায়ী মিথ্যা বললো যে, উক্ত পণ্য আমার ১০০ টাকা কেনা আছে, অথচ ৫০ টাকা বা তার কমবেশি কেনা। সে ব্যাক্তি শুধুমাত্র দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্য বলেছে। এটাও তার জন্য বৈধ নয়।

✅৩. ব্যাবসায়ী ব্যাবসার ক্ষেত্রে নিয়তকে পরিশুদ্ধ রাখবে। কোনো প্রকার ঠকানোর নিয়তে ব্যাবসা করলে তা নিয়তের কারণে অবৈধ হবে।

অতঃএব উল্লেখিতো তিনটি শর্তে একজন ব্যাবসায়ী তার পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের থেকে ইচ্ছেমতো লভ্যাংশ ভোগ করতে পারবে এবং এটা তা জন্য সম্পুর্ন হালাল।

Spread the love

Leave a Comment