বন্ধুত্ব-প্রকৃত বন্ধু বাছাই করুণ
মানুষের জীবনে এমন কিছু সময় আসে,
যখন নিজেকে অসহায় মনে হয়…
তখন নিঃস্বার্থ ভাবে যে পাশে দাড়ায়,
সে হল সত্যিকারের “বন্ধু“
অতি কাছের বন্ধুর থেকেও প্রতারণা কিংবা বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আসে অহরহ। যার সাথে অন্তরঙ্গতারও কমতি ছিল না। বন্ধুতের সময়কালটাও ছিল দীর্ঘ। কিন্তু তার কাছ থেকে পাওয়া গেল এমন ব্যবহার, যার আশা আপনি কল্পনায়ও করতেন না। বিশ্বাস করার কারণে অনেক ধোকা খেয়েছেন ।
সাফল্য আমাদের নতুন বন্ধু দেয়,
কিন্তু ব্যর্থতা দেখিয়ে দেয় কে প্রকৃত বন্ধু।
আমাদের নয়নের মণি আক্বা কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন– ‘মানুষ তার বন্ধুর দ্বীন এবং চালচলনের ওপর হয়ে থাকে। অতএব এটা খুব জরুরি যে, তার দেখা উচিত সে কার সাথে বন্ধুত্ব রাখছে।’ [আল মুসনাদ লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৩/২৩৩, হাদীস- ৮৪২৫] স্পষ্ট বুঝা যায়, বন্ধুর চালচলন এর প্রভাব গভীরভাবে আপনার ওপর পরে। তাই বন্ধু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যেনো এই সংস্পর্শ দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতির সম্মুখীন না করে বসে। অবশ্যই মস কথা মাথায় রাখতে হবে ।
প্রকৃত বন্ধু বাছাই করুণ
একটি বই একশটি বন্ধুর সমান, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু পুরো একটি লাইব্রেরির সমান ।
— এপিজে আবুল কালাম
কিভাবে সঠিক বন্ধু বাছাই করবেন?
কিভাবে সঠিক বন্ধু বাছাই করবেন? ইসলাম এর কিছু প্যারামিটার দিয়েছে। সেটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে । আমাদের নয়নের মণি আক্বা কারীম (আলাইহিস সালাম) বলেছেন– ভালো বন্ধুর উদাহরণ আতর বিক্রেতার মতো। হয়তো আপনি তার থেকে আতর কিনে নিবেন, না হয় সে এমনিতেই দিবে। আর তাও যদি না হয়, তার কাছ থেকে আপনি সুগন্ধটা কমপক্ষে পাবেন। আর মন্দ সাথীর উদাহরণ চুল্লী প্রজ্বলনকারীর মতো। সেখানে গেলে হয়তো, আপনার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে না হয় দুর্গন্ধ পাবেন তার কাছ থেকে। [সহিহ মুসলিম, ১০৮৪ পৃষ্ঠা।] তাই বন্ধু বাছাই করার আগে ভালো করে জাচাই-বাঝাই করে নেবেন । যার মধ্যে ইসলামী জ্ঞানের সুগন্ধি আছে তাকে বন্ধু বানান -তাহলে জ্ঞানের ছিটেফোটা পাবেন ।
সৎ হলে হয়তো তুমি অনেক বন্ধু পাবে না,
কিন্তু শ্রেষ্ঠ বন্ধুদেরকে চিনে নিতে পারবে…
উত্তম বন্ধু কে?
এই প্রসঙ্গে আমাদের নয়নের মণি আক্বা কারীম (আলাইহিস সালাম) বলেছেন– উত্তম সাথী হলো সে, যাকে দেখলে তোমার আল্লাহর কথা স্মরণ হয়, যার কথা শুনলে নেক আমল বৃদ্ধি পায় এবং তার আমল তোমাকে আখিরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়। [জামেউস সগীর, ২৪৭ পৃষ্ঠা]
এই মোতাবেক যদি হয় আপনার বন্ধু নির্বাচন, তাহলে আপনাকে আর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না। সেটা দুনিয়া হোক কিংবা আখিরাতে। ইন শা আল্লাহ
ইরশাদ হচ্ছে– মানুষ হাশরে তার সাথেই থাকবে, যাকে সে ভালোবাসে। তাই যার সাথে বন্ধুত্ব রাখছেন, খেয়াল রাখবেন– সে যেন হয় দ্বীনমুখী। তাকে দেখলে যেনো এই ধারণাটা আসে– হাশরে এই মানুষটা হয়তো নেককারদের দলে থাকবে।
বন্ধু নিয়ে স্ট্যাটাস
প্রকৃত বন্ধুরা আমাদের কখনো পড়ে যেতে দেয় না,
না কারো নজরে, না কারো পায়ে…
এরকম বন্ধুদের যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হয়..
বন্ধুত্ব মানে বোঝাপড়া, কোনো চুক্তি নয়।
বন্ধুত্ব মানে ক্ষমা করা, ভুলে যাওয়া নয়।
Swadhin Attari & A Qadri