৩ প্রকার ব্যক্তির কোরবানি কবুল হয় না

৩ প্রকার ব্যক্তির কোরবানি কবুল হয় না

কোরবানির অর্থ উৎসর্গ করা। মহান স্রষ্টাকে সন্তুষ্টি করার উদ্দেশে প্রাণী উৎসর্গ করাকে কোরবানি বলা হয়।
এই কোরবানি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর সুন্নত । এই কোরবানির পশুর শরীরের প্রত্যেক লোমের বিনিময় নেকি পাওয়া যায় ।
তবে দুঃখের বিষয় হলো ৩ শ্রেনীর মানুষ আছে যারা কোরবানি করেও কোন প্রকার নেকী পাই না কারণ কুরবানী কবুল হয় না ।

(১) সঠিক নিয়ত না থাকা
কোরবানি হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য । কারো মনোরঞ্জন বা প্রেস্টিজ রক্ষার জন্য নয় ।
অনেক ভাবে কোরবানি না দিলে মানুষ কি বলবে,একাধিক সন্তান আছে কোরবানি না দিলে কেমন হবে,একটু বেশি টাকায় কোরবানি দিতে হবে না হলে গোশত বেশি পাওয়া যাবে, ইত্যাদি । আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে এটাই মূল উদ্দেশ্য হবে এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য বা নিয়ত যদি মনের মধ্যে থাকে তাহলে কুরবানী কবুল হবে না ।

বুখারী শরীফের প্রথম হাদিসের মধ্যে রয়েছে

হযরত ওমর (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বলেন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি
انما الاعمال بالنيات
প্রত্যেকটি কাজের (কর্মফল) নির্ভর করে নিয়তের উপর ।

কারো নিয়াত যদি থাকে মানুষকে খুশি করা, গোস্ত খাওয়া তাহলে তার এ কুরবানী মানুষকে খুশি করা বা গোশত খাওয়ার জন্য হবে, কোরবানি হিসাবে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না ।

তবে যদি নিয়াত শুদ্ধ হয় যে শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্যই আমি কোরবানি করছি তাহলে তার কোরবানি কবুল হবে এবং সে গোশত খেতে পারবে ।
তাই কোরবানি করার ক্ষেত্রে নিয়ত শুদ্ধ হওয়া জরুরী ।

(২) হারাম উপার্জনের টাকায় কোরবানি করা ।
হারাম উপার্জনের টাকায় যে ব্যাক্তি কোরবানি করবে তার কোরবানি কবুল হবে না, তাছাড়া সেই ব্যক্তি যদি একটি বড় পশুতে কিছু টাকা দিয়ে অংশীদার হয় তাহলে সকলের কোরবানি বাতিল হবে ।
হারাম উপার্জন যেমন- সুদের টাকা, ঘুষের টাকা, জুয়োর টাকা, হক মারা টাকা, চুরি করা টাকা অথবা হারাম পণ্যের ব্যবসা করা টাকা । ইত্যাদি

(৩) লোক দেখানো কোরবানি করা ।
অনেকে আছে যারা মানুষকে দেখানোর জন্য কোরবানি দেয় । কোরবানি না দিলে লোকে কি বলবে, গত বছর দেওয়া হয়নি, এবার না দিলে বেশি বদনাম হবে । ইত্যাদি
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোরবানি দিলে সে কোরবানি কবুল হবে না ।

মনে রাখবেন কোরবানি দেওয়ার ব্যাপারে নিয়াত খালিস রাখতে হবে।

দরিদ্র ব্যক্তির জন্য কোরবানি দেওয়ার আদেশ নেই, যারা নেশাব পরিমাণ সম্পদের মালিক তাদের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব ।

আমাদের ইংরেজী সাইট ভিজিট করুন- www.imuadvice.com

Spread the love

Leave a Comment