বাদামের উপকারিতা এবং অপকারিতা

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে বাদাম হলো একটি নিয়ামত । এ বাদামের মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক শক্তি দিয়েছেন ।
পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম,ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আরও কত কী, যা নানাভাবে শরীর, চুল চেহারার সৌন্দর্য বাড়ায় ।

সাধারণত ৪ প্রকার বাদাম আমাদের মাঝে বেশি পরিচিত
১. কাঠ বাদাম
২. কাজু বাদাম
৩. চীনা বাদাম
৪. পেস্তা বাদাম

প্রত্যেক বাদামে কমবেশি একই ধরনের উপকার রয়েছে ।

বাদামের উপকারিতা
(১) শরীরের হাড় মজবুত হয়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই তো নিয়মিত বাদাম খাওয়া শুরু করলে জীবনে কোনও দিন কোনও হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ইনশাআল্লাহ

(২) স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়:
আমেরিকার অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা (স্মৃতিশক্তি) বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম করে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

(৩) পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:
বাদামে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে।

(৪) মনকে ভালো রাখে
দিনে অন্ত্যত একবার হলেও বাদাম খান তাহলে শরীরের ক্যালরি বৃদ্ধি পাবে। বাদাম খাদ্যর মেজাজ বা মন হিসাবে পরিচিত। তাই মনের বিষণ্নতা ও রাগ দূর করে মনকে রিফ্রেশ(Refresh) করে তোলে।

(৫) চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
নানা ধরনের বাদামে পাওয়া যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা ত্বক, চুল, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের জন্য দারুণ উপকারী। সাধারণ চীনাবাদাম থেকে শুরু করে, কাজুবাদাম, আখরোট ও অ্যালমন্ড—সবই দারুণ উপকারী খাবার। প্রতিদিনই হালকা খাবার হিসেবে খাওয়ার জন্য নিজের সঙ্গেই অল্প কিছু বাদাম রাখতে পারেন।

এবার বাদামের কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জানব

বাদামের অপকারিতা

(১) গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিমাণে (২০০ গ্রাম বা তার বেশি) খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

(২) ওজন বাড়ায়
পরিমাণমতো না খেয়ে যদি তার চেয়ে বেশি পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে শরীর মোটা হয়ে যায়। যারা রোগা মোটা হতে চাই তাদের জন্য খুবই ঠিক আছে । কিন্তু যারা আগে থেকে মোটা তারা বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকবে ।

(৩) অ্যালার্জির সমস্যা
বাদামের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা বিদ্যমান আছে তবুও বাদাম খাওয়ার সময় নিয়ম-মাফিক না খেলে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অ্যালার্জির সমস্যা। কারণ- বাদামের মধ্যে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

অতিরিক্ত প্রোটিন হওয়ার কারণে এ সমস্ত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে সেজন্য মাত্রায় কম করে খেতে হবে তাহলে কোন সমস্যা হবে না ।

খাওয়ার নিয়ম
যেকোনো সময় পরিমাণমতো বাদাম খাওয়া যাবে তবে সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে । রাত্রে ৫০-১০০ গ্রাম বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হবে । কেউ চাইলে পেস্ট করেও খেতে পারেন ।
মনে রাখবেন কাচা বাদাম খেতে হবে ভাজা বাদামে তেমন উপকার নেই ।

প্রিয় পাঠক আশা করি এ সুন্দর তথ্যগুলি আপনাদের ভাল লেগেছে ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন ।

Spread the love

Leave a Comment