হাত ও পায়ের লোম সেভ করা বা কাটার হুকুম কি?

মানুষের দেহের লোমকে আলেমরা তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। হাত ও পায়ের লোম সেভ করার বিষয়ে জানতে হলে প্রথমে সেগুলো জানতে হবে, তাহলে বিষয়টি বুঝতে বেশি সুবিধা হবে ।

১. যে লোম সর্বদা ছেটে ফেলতে হবে: যেমন- বগলের লোম, মোচ, নাফির নিচের লোম।

২. যে লোম কখনো ছাটা যাবে না: ভূরু, দাড়ি (অধিকাংশের মতামত)

৩. যে লোমের ব্যাপারে কোনো নির্দেশ নেই: দেহের অন্যান্য লোম যেমন- হাতের লোম ও পায়ের লোম, ইত্যাদি ।

ভুরু বাদে অন্য সকল লোম সেভ করে ফেলার ব্যাপারে কিছূ আলেমদের মতভেদ আছে। কেউ বলেন এটা করা যাবে না। কারণ এটা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করে, যা নিষেধ। অন্যান্য আলেমগণ বলেন না এটা বিকৃতির মধ্যে পড়ে না। এই লোম রাখার স্বাধীণতা মানুষের উপর তারা রাখতে চাইলে রাখবে, না চাইলে রাখবে না।

ফতওয়া আল-লাজনাহ আল দাইমাহতে বলা হয়েছে: নারীদের জন্য তাদের হাত, পা, ঠোঁটের উপরের লোম তুলে ফেলায় কোনো গুনাহ নেই। ভুরু এবং মাথার চুল বাদে অন্য যেকোনো লোম তারা তুলে ফেলতে পারে। ( ৫/১৯৪, ১৯৫ )

পুরুষের জন্য বুকের লোম কাটা হারাম নয়, তবে উত্তমও নয়। “বুক ও পিঠের লোম ছাঁচা শিষ্টাচার পরিপন্থী।” (রদ্দুল মুহতার ৯/৫৮৩)

আরো পড়ুন…

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ (Investment) করা হালাল না হারাম?

সব সময় মন ভালো রাখার ইসলামী কৌশল

Spread the love

Leave a Comment