যিলহাজ্জের চাঁদ দেখার আগে ও পরে করনীয় কিছু আমল

যিলহাজ্জের চাঁদ দেখার আগে ও পরে করনীয় কিছু আমল

যিলহজ্জ মাস শুরুর আগে ও শুরুর ১ম ১০ দিন আমাদের যা কিছু করা উচিৎ-

১. যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে যারা কুরবানি করতে ইচ্ছুক তারা কুরবানির আগ পর্যন্ত চুল-নখ-লোম না কাটা। এই বিধান শুধু কুরবানিদাতার জন্য। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য না। (তাই এ মাস শুরুর আগেই চুল নখ অবাঞ্চিত লোম সব কেটে পরিস্কার করে ফেলুন।)

২-চাদ দেখে দুয়া পড়া—যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ, এমনকি রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া একটিই। রাসূলুল্লাহ (সা.) নতুন চাঁদ দেখলে এই দোয়া পড়তেন:—

উচ্চারণ :- আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি- রব্বি ওয়া রব্বুকাল্লাহ

অর্থ :- হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আল্লাহই আমার ও তোমার রব। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১)

৩- বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা:- তাকবীর হোলঃ- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লালাহ,আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ

৪-যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমল আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয়। ইবাদাতে একাগ্রতা বাড়ানো ; নফল সালাত, সাদাকাহ, ইস্তিগফার করা, তাওবা করা, যিকর করা – আল্লাহু আকবার, আলহামদুলিল্লাহ্, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বেশি বেশি পড়া, কোরআন তিলাওয়াত করা ইত্যাদি আমলে সময়কে ব্যস্ত রাখা।

আলিমরা বলেছেন:-যিলহাজ্জ মাসরে ১ম দশদিন সর্বোত্তম দিন, আর রমযান মাসের শেষ দশ রাত, সব চেয়ে উত্তম রাত।

৫. ১-৯ তারিখ অর্থাৎ ১ম থেকে নবম যিলহজ্ব পর্যন্ত রোযা রাখা। বিশেষ করে আরাফার দিনে (যে দিন হাজিরা আরাফার মাঠে থাকে ) রোযা রাখা, এতে দুই বছরের সগীরা গুনাহ মাফ হবার আশা করা যায়।

আরাফার দিনে রাখার ফজিলতঃ-
আবু কাতাদা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার দিনে রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ উক্ত রোযা, গত এক বছরের এবং আগামী এক বছরের কৃত পাপরাশিকে মোচন করে দেয়।*
(সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ)।

তাই আমলে আমলে পরিপূর্ণ করুন যিলহজ্জ মাসটিকে…আল্লাহ্ চাইলে গুণাহের বোঝা হালকা হয়ে যাবে যদি সঠিকভাবে এই দিন গুলিকে কাজে লাগাতে পারি।
★আল্লাহ্ সবাইকে তৌফিক দিন।।★

Spread the love

Leave a Comment