জুমার দিন যে কাজ করলে গুনাহ মাফ
জুমার দিন কয়েকটি কাজ মনোযোগ দিয়ে করলে এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এই মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ হয়ে যায় ।
সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, অতঃপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, অতঃপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না রাখে (কাছাকাছি বসে) এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে (কাবলাল জুমা নামাজ)। আর ইমাম যখন (খুতবার জন্য) বের হন তখন চুপ থাকে। তার এ জুমআ এবং পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯১০)
আমাদের যা করতে হবে তা হল
- উত্তম রূপে গোসল করতে হবে।
- সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে।
- খুতবার শুরু হওয়ার আগে নির্ধারিত নামাজ আদায় করতে হবে।
- একে অপরের মধ্যে ফাঁকা জায়গা না রেখে কাছাকাছি বসতে হবে ।
- খুতবার শুরু হলে কথা না বলে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে হবে (খুতবা শুরু হলে কথা বলা যাবে না)।
কেউ যদি এগুলো মেনে চলে তাহলে সে জুম্মা থেকে নিয়ে পরবর্তী জুম্মা পর্যন্ত মধ্যের যত দিনের গুনাহ রয়েছে তা মাফ হয়ে যাবে ।
মনে রাখতে হবে ওষুধ খাওয়া, মদ খাওয়া, ব্যভিচার, হক নষ্ট করা ইত্যাদি কাবিরা গুনাহ মাফ হবে না । এগুলি মাফ করাতে হলে সঠিকভাবে তওবা করে গুনাহর কাজ ছেড়ে দিতে হবে ।
কাবিরা গুনা ছাড়া যত সাগিরা গুনাহ আছে সেগুলি মাপ হয়ে যাবে । তবে কেউ যদি জুমার দিন তওবা করে নাই এবং কোনা থেকে পুরোপুরি ফিরে আসার মনস্থ করে তাহলে কাবিরা ও কাবিরা সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে । ইনশাআল্লাহ
এবার পড়ুন
- ৫টি প্রাণী হত্যা করা কঠিন ভাবে নিষেধ
- ফজরের সুন্নাত ছুটে গেলে কখন আদায় করতে হবে?
- মসজিদে মেয়েদের নামাজ আদায় করা নিষেধ কেন?
- ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া বা অন্য কোন কাজ করানো কি বৈধ হবে?
যাকাত বের করার ক্যালকোলেটর